|
|
|
|
নবীন শিল্পোদ্যোগীদের সামনে সম্ভাবনা তুলে ধরলেন অমিত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অনাবাসী ভারতীয় বাঙালিদের সম্মেলন আর বণিকসভা সিআইআইয়ের জাতীয় পরিষদের বৈঠকের মাঝখানে এ বার কলকাতাকে আলোচনার মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন নবীন শিল্পোদ্যোগীরাও। বিশ্ব জুড়ে শিল্পোদ্যোগীদের সংগঠন আন্ত্রপ্রনর অর্গানাইজেশন আয়োজিত এই সম্মেলন শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে শহরেরই এক পাঁচতারা হোটেলে। চলবে আজ, শনিবারও।
শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র যখন কর্পোরেট দুনিয়াকে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ বার্তা দিচ্ছেন, তখন এই সম্মেলনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, আলোচনায় যোগ দিতে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, জাপান, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস সমেত ২৪টি দেশের ৬০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি এসেছেন। যোগ দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্যের ২০০-রও বেশি শিল্প-কর্তা। যাঁদের সামনে ব্যবসার খুঁটিনাটি তুলে ধরতে অভিজ্ঞতার ঝুলি উপুড় করছেন কুমার মঙ্গলম বিড়লা, বিজয় মাল্য, হর্ষ মারিওয়ালার মতো নব্য শিল্পপতিরা।
এ দিন এই রুদ্ধদ্বার সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্প তথা অর্থ মন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি জানান, সম্মেলনের নিয়ম অনুযায়ীই এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলার কথা তাঁর নয়। তবে মন্ত্রীর দাবি, দেশ-বিদেশের শিল্পমহলের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্মেলনের জায়গা হিসেবে কলকাতার এই ঠাঁই পাওয়া নিঃসন্দেহে রাজ্যের মুকুটে নতুন পালক। তিনি জানান, শিল্পায়নের ক্ষেত্রে রাজ্য কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, এ দিন তা-ই শিল্পোদ্যোগীদের সামনে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। রাজ্য সম্পর্কে তাঁদের প্রশ্ন ও কৌতূহল দেখে মনে হয়েছে, তা রাজ্যের পক্ষে যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। শিল্পোন্নয়ন নিগমের তরফে সম্মেলনে স্টল দেওয়া হয়েছে। বৈদ্যুতিন ব্যবস্থায় রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনাও তুলে ধরেছে তারা।
তিন বছরেরও বেশি সময়ের ব্যবধানে সিআইআইয়ের জাতীয় পরিষদের (ন্যাশনাল কাউন্সিল) বৈঠক বসতে চলেছে রাজ্যে। ১৭ জানুয়ারির ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তার ঠিক এক সপ্তাহ আগে লগ্নি সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে পা রেখেছিলেন অনাবাসী ভারতীয় বাঙালিরা। ৯ ও ১০ জানুয়ারি তাঁদের নিয়ে যৌথ সম্মেলন আয়োজন করেছিল অনাবাসী ভারতীয় বাঙালিদের সংগঠন নন-রেসিডেন্ট ওভারসিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (এনআরওএবি) ও বণিকসভা বিসিসিআই। |
|
|
|
|
|