মাস চারেক আগে আবেদন করেও সংখ্যালঘু মহিলা ক্ষমতায়ন প্রকল্পে ঋণ মেলেনি। গত বছর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর বৃত্তি ও ঋণ প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়েও মেলনি ঋণ। তাই শুক্রবার রামপুরহাটের বেশ কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা ফ্যাক্স মারফত এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়েছেন। পাশাপাশি সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা এবং পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান আবু আয়েশ মণ্ডলের কাছেও ওই মহিলারা ফ্যাক্স মারফত তাঁদের ক্ষোভ জানিয়েছেন।
রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর এলাকার একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী বেলি বিবি বলেন, “নিগমের কাছ থেকে একাধিক বার গুচ্ছ ঋণ নিয়েছি। প্রতিবার তা নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধও করেছিলাম। ক্ষমতায়ন প্রকল্পে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ ভর্তুকি রয়েছে। তাই ২০১৩ সালের অগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে আমরা ওই প্রকল্পে ঋণ স্বরুপ দলগতভাবে তিন লক্ষ টাকা চেয়ে আবেদন করি। উদ্দেশ্য ছিল কাপড়ের ব্যবসা বড় করা। কিন্তু আজও সেই ঋণ পেলাম না।” রামপুরহাটের আরেক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী সাবিকা বিবির অভিযোগ, “নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে ঋণ তুলে দেবেন বলে আমাদের দু’বার কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও ঋণ দেওয়া হয়নি। চরম হয়রানির শিকার হতে হয় আমাদের। মাস খানেক আগে ইলামবাজারে মুখ্যমন্ত্রী আসেন। সেখানেও ঋণ দেওয়া হবে বলে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আমরা ঋণ থেকে বঞ্চিত হই।”
অন্য একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নেত্রী সাহিনা সুলতানার অভিযোগ, “চার মাস ধরে একাধিক বার সংখ্যালঘু দফতরের রামপুরহাটের শাখা অফিস এবং সিউড়ির অফিসে ঘুরেও ঋণ পেলাম না।” রামপুরহাট সংখ্যালঘু দফতর সূত্রের খবর, মহকুমার ২৬টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা আবেদন করেও ঋণ পাচ্ছেন না। রামপুরহাটের মহকুমা শাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” নিগমের বীরভূম জেলার কো-অর্ডিনেটর আল হেলাল রসিদির বক্তব্য, “নিগমের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি আগামী দিন সাতেকের মধ্যেই ওই আবেদনকারীরা ঋণ পাবেন।” সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান আবু আয়েশ মণ্ডলের বক্তব্য, “খুব শীঘ্রই যাতে ওই আবেদনকারীরা ঋণ পান সে দিকে নজির দিচ্ছি।” |