নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন আসে না। ট্রেনটি কতক্ষণ পরে আসবে তাও ঘোষণা করা হয় না। প্রয়োজনে অনুসন্ধান অফিসে ফোন করলেও উত্তর মেলে না। রামপুরহাটে রেল পরিষেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান। যাত্রীদের একাংশ রেলে লাইনের উপর বসে পড়ায় কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে, লিখিত আশ্বাস পাওয়ার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ দিন দেড় ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ হয়। রামপুরহাট নিত্যযাত্রী সংগঠনের সদস্য ইন্দ্রজিত্ মুখোপাধ্যায় জানান, প্রায় দু’মাস ধরে আপ বর্ধমান-বারহারোয়া প্যাসেঞ্জার রামপুরহাট স্টেশনে ৯ টা ১০ মিনিটের পরিবর্তে কোনও দিন এক ঘণ্টা, কোনও দিন ৪৫ মিনিট। আবার কোনও দিন আধ ঘণ্টা দেরিতে আসছে। এর ফলে রামপুরহাট থেকে রাজগ্রামের মধ্যে থাকা নিত্যযাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে কাজে যোগ দিতে পারছেন না। একই ভাবে ডাউন সাহেবগঞ্জ-রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেনও দেরিতে আসছে। নিত্যযাত্রী সুব্রত দাসের ক্ষোভ, “দেরিতে ট্রেন আসছে কি না অনুসন্ধান অফিসে ফোন করেও জানতে পারা যায় না। ট্রেন কত দেরিতে আসছে, স্টেশনে মাইকে বার বার ঘোষণা করা হয় না।” |
শুক্রবার সকালে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
শুক্রবারও আপ বর্ধমান-বারহারোয়া প্যাসেঞ্জার নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে আসেনি। দিনের পর দিন একই পরিস্থিতি হওয়ায় ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীদের একাংশ কন্ট্রোল রুমে বিক্ষোভ দেখান। এর একটা বিহিত না হওয়া পর্যন্ত সেখানকার কর্মীদের সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করেন তাঁরা। পরে যাত্রীরা স্টেশন ম্যানেজারের অফিসে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান। রামপুরহাট স্টেশন ম্যানেজার অলোককুমার বলেন, “কন্ট্রোল রুমে কাজের চাপের জন্য একবারের বেশি কোনও ট্রেনের বিষয়ে মাইকে ঘোষণা করতে পারা যাচ্ছে না। আলাদা ভাবে এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অনুসন্ধান অফিসে যাতে আলাদা লোক নিয়োগ করা হয়, তার জন্য চেষ্টাও চালানো হবে। সঠিক সময়ে ট্রেন যাতে চলাচল করে, সে ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশ্বাসও মিলেছে।”
এ দিকে যাত্রী বিক্ষোভের ফলে হাওড়া-আজিমগঞ্জ গণদেবতা এক্সপ্রেস, হাওড়াগামী কবিগুরু এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা দেরিতে রামপুরহাট পৌঁছয়। |