|
|
|
|
ভস্মীভূত ভোজ্য তেলের কারখানা, সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন
সুশান্ত বণিক • আসানসোল |
আগুন লেগে প্রচুর সম্পত্তি নষ্ট হল ঝাড়খণ্ডের মিহিজামে একটি ভোজ্য তেলের কারখানায়। শুক্রবার সকালে এই আগুন লাগে। ঘণ্টা ছয়েকের চেষ্টায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আগুন আয়ত্তে আনে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, কারখানার হিটিং পাইপ ফেটে এই বিপত্তি। |
|
পুড়ছে কারখানা। ছবি: শৈলেন সরকার। |
রূপনারায়ণপুর লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া এলাকায় কানগুই পাহাড়ের পাশে ওই কারখানাটিতে সকাল ৮টা নাগাদ আগুন লাগে। তখন কাজ করছিলেন জনা ৩০ শ্রমিক। তাঁদের তড়িঘড়ি বের করে আনা হয়। বচ্চন লাল নামে এক শ্রমিকের কথায়, “হঠাৎ দেখি, চার পাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানালে তাঁরা দমকলে খবর দেন।” সকাল ৯টা নাগাদ মিহিজাম থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে চিত্তরঞ্জন থেকে আরও একটি দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছয়। আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান কারখানার শ্রমিক-কর্মী থেকে এলাকার বাসিন্দারাও। কারখানার আধিকারিক অমর অগ্রবাল জানান, বেশির ভাগ সম্পত্তিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রধান তিনটি বিভাগউৎপাদন, কাঁচামাল ও মোড়ক বিভাগ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
এ দিন কারখানায় আগুন লাগার পরে লাগোয়া হাসিপাহাড়ি, দেশবন্ধু পার্ক, হলুদকানালি এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওই কারখানায় একটি হাইড্রোজেন চেম্বার রয়েছে। তাতে আগুন লাগলে তা আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে। তবে ঘণ্টা তিনেক পরে জানা যায়, হাইড্রোজেন চেম্বারটি আগুনের হাত থেকে রক্ষা করা গিয়েছে। |
|
তখনও নেভেনি আগুন।—নিজস্ব চিত্র। |
কর্মীদের থেকে জানা গিয়েছে, প্রায় বছরখানেক এই কারখানাটি বন্ধ ছিল। সপ্তাহখানেক আগে তা ফের চালু হয়েছে। কারখানার সুরক্ষা ব্যবস্থা ও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক ছিল কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ দিন বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভও দেখান এলাকার কিছু বাসিন্দা। কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও কথা বলতে চাননি। এ দিন আগুন লাগার খবর পেয়েই পৌঁছন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। ঘটনাস্থলে যান মিহিজামের পুরপ্রধান পুষ্প অগ্রবাল, জামতাড়ার বিধায়ক বিষ্ণু ভাইয়াও। মিহিজামের দমকল আধিকারিক এস যাদব জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, কারখানার হিটিং পাইপ ফেটে আগুন ছড়িয়েছে। |
|
|
|
|
|