|
|
|
|
জল্পনা উস্কে ফের রাহুলের বাড়িতে বৈঠকে প্রিয়ঙ্কা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৯ জানুয়ারি |
আজ নিয়ে পরপর তিন দিন। ১২ নম্বর তুঘলক রোডে রাহুল গাঁধীর সরকারি বাসভবনে এলেন এবং বৈঠক করলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রা।
এবং তাঁকে নিয়ে দলের ভিতরে -বাইরে জল্পনাটা আরও উস্কে দিলেন।
অথচ গত কালই দলীয় সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, দলের কৌশল নির্ধারণে মোটেই অংশ নিচ্ছেন না প্রিয়ঙ্কা। তিনি কেবল অমেঠি ও রায়বরেলীতেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছেন।
আজ প্রিয়ঙ্কা এবং রাহুলের ওই বৈঠকে যোগ দিতে দশ জনপথ থেকে চলে আসেন সনিয়া গাঁধী। তার পর অজয় মাকেন, মধুসূদন মিস্ত্রী, জনার্দন দ্বিবেদী -সহ সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন সনিয়া -রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা। এ দিনই লোকসভা ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য স্ক্রিনিং কমিটি গড়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে যে কমিটি রয়েছে, তার চেয়ারম্যান করা হয়েছে সুশীলকুমার শিন্দেকে। কমিটির সদস্য করা হয়েছে রাহুল -ঘনিষ্ঠ কেরলের নেতা মানিক টেগোরকে।
কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, আসলে ১৭ জানুয়ারি কংগ্রেসের অধিবেশন থেকে রাহুল গাঁধীর নেতৃত্ব নিয়ে বড় ঘোষণা করা হবে। বস্তুত তারই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। কিন্তু দলের অনেকে এ -ও মনে করছেন যে, তার থেকেও বড় বার্তা রয়েছে ১২ তুঘলক রোডের এই সব বৈঠকের মধ্যে। এত দিন সনিয়া গাঁধীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বা ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের বৈঠক হতো দশ জনপথে। সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে রাহুল বৈঠক করলেও তা হতো কংগ্রেস দফতরে বা গুরুদ্বারা রেকাবগঞ্জ রোডে দলের ওয়ার রুমে। কিন্তু সনিয়ার উপস্থিতিতে এই প্রথম এ ধরনের কোনও বৈঠক হল রাহুলের বাসভবনে। দলের অনেকের মতে, দশ জনপথ থেকে কংগ্রেসের ক্ষমতার কেন্দ্র ১২ তুঘলক রোডে চলে যাওয়ার স্পষ্ট বার্তা রয়েছে এই ঘটনায়। তার মধ্যেই এ দিন রাহুলের বাসভবনে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে যান আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। যা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন এই নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, এ সব থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে, এ বার জোটের ব্যাপারে সনিয়া নন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাহুলই।
কংগ্রেস নেতাদের অনেকেই বলছেন, ১৭ জানুয়ারির অধিবেশনে রাহুল গাঁধীর নাম দলীয় সভাপতি বা কার্যকরী সভাপতি হিসেবে ঘোষণা হতে পারে। কেন না, তা প্রকারান্তরে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরারই সামিল হবে বলে দাবি ওই নেতাদের।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এক সদস্যের বক্তব্য, ১৭ জানুয়ারির অধিবেশনের আগের দিন দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে। ওই দিন বা তার আগেই দলের নতুন ওয়ার্কিং কমিটি ঘোষণা হতে পারে। কারণ দিগ্বিজয় সিংহ, শাকিল আহমেদ, মধুসূদন মিস্ত্রী, অজয় মাকেন, মুকুল ওয়াসনিকের মতো সাধারণ সম্পাদকরা লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে পারেন বলে দলে আলোচনা চলছে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের দিয়ে সংগঠনের কাজ চালানো সম্ভব নয়। তাই লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনে একাধিক নতুন মুখ আনতে পারেন রাহুল।
কিন্তু এ সবের মধ্যে প্রিয়ঙ্কা আসছেন কোথা থেকে? আজকের বৈঠকেও তাঁর উপস্থিতির গুরুত্বটাই বা কী? কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, প্রিয়ঙ্কা যে ক্রমশই রাহুলের সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ের সেতু হয়ে উঠছেন, এই সব বৈঠকের মাধ্যমে সেটা ক্রমশ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। তবে প্রিয়ঙ্কা -জল্পনায় জল ঢেলে কংগ্রেসের কিছু নেতা আবার বলছেন, আগামী কাল, শুক্রবার থেকে দু’দিন অমেঠি সফরে যাওয়ার কথা ছিল রাহুল গাঁধীর। সেখানে রামলীলা ময়দানে একটি জনসভা করার পাশাপাশি রেল মন্ত্রকের আওতায় একটি জল প্রকল্পের শিলান্যাস করার পাশাপাশি আরও একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা ছিল তাঁর। সম্ভবত সেই জনসভার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার জন্যই আজ রাহুলের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেন প্রিয়ঙ্কা। যদিও সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বৃষ্টির জন্য রাহুলের সেই সফর বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অমেঠিতে রাহুলের প্রতিনিধি চন্দ্রকান্ত দুবে।
রাহুল না হয় না -ই গেলেন অমেঠি। প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে গুঞ্জন কিন্তু থামছে না।
|
পুরনো খবর: দাদার বাড়ি যেতেই পারেন, যুক্তি দলের |
|
|
|
|
|