রিভলভার লুঠের সময়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শর্ট স্ট্রিটের বাসিন্দা রতনলাল নাহাটার মাথায় পিস্তল ধরেছিল যে অপরাধী, মঙ্গলবার তাকে কামারহাটি থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ রফিক।
গোয়েন্দাদের দাবি, রতনলাল নাহাটাকে শর্ট স্ট্রিটের বাড়ি থেকে উৎখাত করতে তার বাড়ির আগ্নেয়াস্ত্র আগে সরানো দরকার বলে মনে করেছিল পরাগ, পিনাকেশরা। পুলিশের অভিযোগ, ব্যারাকপুরের সামির রিয়াজ নামের এক ব্যক্তিকে এই কাজের দায়িত্ব দেয় তারা। গোয়েন্দাদের দাবি, সামির জানিয়েছে, রতনলালের বাড়িতে হামলা চালানোর জন্য সে ব্যারাকপুরের দাগি দুষ্কৃতীদের কাজে লাগায়। এর মধ্যে ছিল মনজার, ওসমান ও রফিক। অভিযোগ, ১৫ সেপ্টেম্বর তারা শর্ট স্ট্রিটের বাড়িতে ঢুকে রতনলালের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তার রিভলভার, মোবাইল লুঠ করে। পুলিশ জানায়, বাড়িতে যে রতনলালের আরও দু’টি বন্দুক ছিল, তা জানত না তারা। তারা ভেবেছিল, ওই রিভলভারটি লুঠ করায় রতনলাল ও মমতা অগ্রবাল নিরস্ত্র হয়ে পড়েছেন। ১১ নভেম্বর রতনলাল ও মমতাকে উৎখাত করতে যে বাউন্সারদের পাঠানো হয়, তাদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। তখন মমতা ও তার নিরাপত্তারক্ষী গুলি চালান। মারা যান দুই বাউন্সার।
এর মধ্যে মনজার ও ওসমান আর একটি ডাকাতির ঘটনায় ধরা পড়ে। গোয়েন্দারা ওই দু’জনকে লালবাজারে এনে শর্ট স্ট্রিট কাণ্ড নিয়ে জেরা করেন। ওসমানের হেফাজত থেকে মেলে রতনলালের রিভলভার। তাদের জেরা করেই এ দিন রফিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রফিকের থেকেও মিলেছে একটি পিস্তল ও চার রাউন্ড কার্তুজ। রফিককে জেরায় এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। এ দিন রফিককে ব্যাঙ্কশাল আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বরূপ শেঠের এজলাসে হাজির করানো হয়। সরকারি আইনজীবী কৃষ্ণচন্দ্র দাস আদালতে বলেন, রফিককে আরও জেরা করে পুলিশ জানতে চায়, আর কোন কোন দুষ্কৃতী ওই ঘটনায় জড়িত। বিচারক রফিককে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেন।
গোয়েন্দারা জানান, ১৫ সেপ্টেম্বরের ওই হামলার পরে শেক্সপিয়র সরণির থানার পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। ঘটনাটিকে লঘু করে দেখানো হয়েছিল। পরে ১১ নভেম্বরের হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই থানার সাব-ইনস্পেক্টর নুর আলিকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা।
|