রাজ্য সরকার এখনও সব জেলায় ধান কেনার কাজ শুরুই করেনি বলে অভিযোগ তুলল বামফ্রন্ট পরিষদীয় দলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সোমবার রাজ্যের কৃষি এবং খাদ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছ’দফা দাবি সনদও পেশ করে তারা।
সর্বত্র ধান কেনার কাজ শুরু না-হওয়ায় অনেক জেলায় চাষিরা সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্যের (কুইন্ট্যাল প্রতি ১৩১০ টাকা) চেয়ে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত মন্ত্রী আনিসুর রহমান। সহায়ক মূল্য হিসেবে কুইন্ট্যাল প্রতি ১৩১০ টাকা ‘হাস্যকর’ বলেও মন্তব্য করা হয়। চালকলের মাধ্যমে ধান কেনার সরকারি সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেছেন বাম নেতৃত্ব।
নবান্নে দাঁড়িয়ে বামফ্রন্ট পরিষদীয় দলের পক্ষে আনিসুর অভিযোগ করেন, “এ বার ধান কেনার ব্যপারে পুরোপুরি অন্ধকারে রাজ্যের চাষিরা। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী চালকলের মাধ্যমে ধান কেনার জন্য ছোট-ছোট চাষিরা সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারছেন না।” তা উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য বলেন, “বিভিন্ন জেলায় ধান কেনার শিবির খোলার জন্য বাম নেতৃত্বের কাছে তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বামফ্রন্টের তরফে কোনও তালিকা পাঠানো হয়নি।”
খাদ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, লেভি ফাঁকি দেওয়া বন্ধ করতেই চালকলের মাধ্যম ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৮ লক্ষ মেট্রিক টন চাল লেভি হিসেবে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছে। এর জন্য চালকলগুলিকে ১২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনতে হবে।
বাম পরিষদীয় দলের বক্তব্য, বেশ কিছু এলাকায় কম বৃষ্টি হয়েছে, আবার কিছু এলাকায় বন্যা হয়েছে। সারের দাম লাফিয়ে বাড়ায় ধানের উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে উৎপাদনের খরচও উঠছে না। খরচের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘যুক্তিসম্মত’ (কৃষক কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী) দাম দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। মন্ত্রীর জবাব, “রাজ্য নয়, ধানের সহায়ক মূল্য ঠিক করে কেন্দ্র। প্রাক্তন মন্ত্রী হিসেবে এটা আনিসুর রহমানের জানা উচিত ছিল।”
|