সাতসকালে আলোচনা। বাগান প্র্যাকটিসের পর ওডাফা ও করিম। রবিবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস। |
রবিবার সকালে করিম বেঞ্চারিফার অনুশীলনে গিয়ে দেখা গেল, মাঝমাঠকে সংঘবদ্ধ করতে ব্যস্ত মরক্কান কোচ। মহমেডানকে চাপে ফেলতে নিজের মাঝমাঠকেই প্রধান অস্ত্র করছেন করিম। আসলে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে রহিম নবি, অ্যান্টনি সোরেনরা ম্যাচের শুরুতেই মাঝমাঠের দখল নিয়ে ফেলায় কলকাতা লিগে লাল-হলুদের বিজয়রথ আটকে গিয়েছিল। মোহনবাগান ম্যাচেও একই ফর্মূলা সঞ্জয় সেনের। আর তা আগাম আন্দাজ করেই সেই কৌশলের ‘প্রতিষেধক’ তৈরি রাখছেন করিম। মাঝমাঠকে হাতিয়ার করে মহমেডানকে পাল্টা চাপে ফেলার স্ট্র্যাটেজি। সঙ্গে উইং প্লে দিয়ে আক্রমণে ওঠার পরিকল্পনাও নোট বুকে ছকে নিলেন মোহনবাগান কোচ। ওডাফাকে সামনে রেখে ৪-৪-১-১-এ দল সাজাচ্ছেন তিনি।
মহমেডানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগেই অবশ্য বেশ কয়েকটি সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। প্রথমত, কার্ড সমস্যার জন্য দলে নেই লুসিয়ানো, জোসিমার। দ্বিতীয়ত, এক বিদেশি নিয়ে খেলতে হবে মহমেডানকে। তিন নম্বর সুবিধা, বহু দিন পর চোট সারিয়ে পুরো ম্যাচ ফিট না হওয়া সত্বেও মাঠে নামবেন পেন। আর চার নম্বর, প্রায় সব ম্যাচেই গোল নষ্টের খেসারত দিতে হচ্ছে মহমেডানকে। সঞ্জয় সেন বললেন, “আমার দলের এই সমস্যাগুলো রয়েছে ঠিকই, তবে আমি আত্মবিশ্বাসী। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আমার ছেলেরা যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, সে রকম খেলতে পারলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।”
লুসিয়ানোর পরিবর্তে খেলছেন সন্দীপ সাঙ্ঘা। আর পেন জোসিমারের জায়গায়। সঞ্জয় মূলত ওডাফা, রাম মালিক আর কাতসুমিকে বোতলবন্দি করে করিমের স্ট্র্যাটেজি বানচাল করে দিতে চাইছেন। অনুশীলনের ছবিটা তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। পাশাপাশি বিপক্ষকে চাপে ফেলতে আক্রমণের পথেই হাঁটবেন মহমেডান কোচও। রহিম নবি, মেহরাজউদ্দিনের মতো প্রাক্তন মোহনবাগানিরাও রীতিমতো তেতে আছেন। অন্য দিকে, ওডাফা-কাতসুমিদের ভোকাল টনিক দিচ্ছেন করিমও। এখন দেখার, দু’নম্বর হওয়ার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কারা জেতে। |