হুইল চেয়ারে সওয়ার মধ্যকলকাতার জিমি বৎস সাতসকালে হাজির রেড রোডে।
তাঁকে ম্যারাথনে এগিয়ে দিলেন দিব্যেন্দু বড়ুয়া, নগরপাল সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ,
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং রাজ্যপাল এমকে নারায়ণন। |
৪২.১৯৫ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়ের শেষে পুরুষ বিভাগে জব্বলপুরের সত্যপ্রকাশ চ্যাম্পিয়ন। মেয়েদের ১১ কিলোমিটারের মিনি ম্যারাথনে সেরা উত্তরপ্রদেশের সুধা সিংহ। সেনাবাহিনীর কর্মী সত্যপ্রকাশের সঙ্গে গুয়াংঝৌ এশিয়াডে স্টিপলচেজে সোনাজয়ী সুধা সেরার শংসাপত্র নিয়ে ফিরে গেলেও কলকাতা ম্যারাথনের আসল চ্যাম্পিয়ন হয়ে থেকে গেল শহরবাসীর আবেগ, সহমর্মিতা, দায়বদ্ধতা। দুঃস্থ ক্যানসার রোগীদের পাশে দাঁড়াতে অশীতিপর বৃদ্ধা ছাড়াও দৌড়ে অংশ নিতে দেখা গেল হুইলচেয়ার সওয়ার ব্যক্তিদেরও। মঞ্চে উঠে প্রতিযোগীদের সাহস দিয়ে গেল ক্যানসারকে হারানো ছোট্ট মেয়ে কোয়েল দত্ত।
এ রকম এক আবেগঘন ম্যারাথনে হাজির থেকেও দৌড়তে না পারায় তাই আক্ষেপ যাচ্ছে না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক গত নভেম্বরেই সামাজিক দায়বদ্ধতার তাগিদে বোথাম, গাওস্করের সঙ্গে ৩২ কিলোমিটার হেঁটেছেন শ্রীলঙ্কার মাটিতে। সকাল ছ’টায় কলকাতা ম্যারাথনের ফ্ল্যাগ অফ-এর পরে ‘প্রিন্স অব কলকাতা’ বলছিলেন, “দৌড়নোর ইচ্ছে নিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু এত মানুষের ভিড় দেখে ঝুঁকি নিলাম না। নিরাপত্তা কর্মীদের সমস্যা বাড়ত।” অবশ্য ম্যারাথনের উপযোগিতা নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে আসমুদ্রহিমাচলের ‘দাদা’-র পরামর্শ, “দৌড়লে শরীর-মন, দুটোই ভাল থাকে। আপনাদের সকলের জীবনেই কোনও না কোনও একটা দৌড় রয়েছে। আজকের দৌড়ের সঙ্গে সেই দৌড়টাও কিন্তু শেষ করবেন।” |