অ্যাসেজ-আধারে চুম্বন ক্লার্কদের। ছবি: এএফপি। |
যে দলটা ক’য়েক মাস আগেই অজিদের ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল তাঁরাই অ্যাসেজের ইতিহাসে তৃতীয় বার ৫-০ হল কী করে? বিশেষজ্ঞরা দুটো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন। এক, ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারের (কুক, বেল ও পিটারসেনের সিরিজে মোট রান ৭৭৫) নাগাড়ে ব্যর্থতা। দুই, সেখানে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও হাডিনের (৪৯৩ রান। গিলক্রিস্টের এক সিরিজে সর্বোচ্চ ৪৭৩ রানের রেকর্ড ভাঙলেন) নেতৃত্বে টেল এন্ডারদের ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ভাবে রান করাটা দুটো টিমে বিরাট পার্থক্য গড়ে দেয়।
ক্লার্কের অবশ্য গর্ব করার লোকের অভাব নেই। তার মধ্যে অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের গলায় বারবার উঠে আসছে একজনেরই নাম। জনসন। “আমাদের বোলিং আক্রমণ যে বিশ্বসেরা, সেটা দেখিয়ে দিতে পেরেছি। ওই রকম পেসে বল করা একটা ব্যাপার। আর সেটা পাঁচটা টেস্ট ধরে টানা করে যাওয়া আর এক রকম,” বলেন ক্লার্ক। এখানেই না থেমে অজি ক্যাপ্টেন স্বয়ং জনসনকে দেশের কিংবদন্তি বোলারদের সঙ্গেও তুলনা করেন। বলেন, “এই সিরিজে মিচের কয়েকটা স্পেলের সঙ্গে নিঃসন্দেহে গ্রেট বোলারদের তুলনা করা যায়।” পাশাপাশি ক্লার্ক আরও বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যালেঞ্জের জন্য আমরা তৈরি।”
শেষ টেস্টে ইংল্যান্ডের খেলা দেখে মাইকেল ভনদের মতো প্রাক্তনদের কারও কারও মনে হয়েছে, টিম আগেই হাল ছেড়ে দিচ্ছে। ক্যাপ্টেন কুক কিন্তু মানতে নারাজ। “আমরা কখনওই হাল ছাড়িনি। ভাল খেলতে পারিনি। তাই হতাশ। ওরা আমাদের সব দিক থেকেই পিছিয়ে দিয়েছে। আর এটাই হজম করা এখন সবচেয়ে কঠিন।”
সিরিজ শুরুর আগে ইংল্যান্ডের ৮২ পাতার ট্যুর মেনু ফাঁস করেছিল অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া। মেনুতে ছিল প্রায় ২০০ রকমের খাবার আর পানীয়ের নাম। কে জানত, সিরিজের ফলটাই শেষ পর্যন্ত হজম হবে না কুকদের! |
সংখ্যায় এই অ্যাসেজ |
৬ ২০০-র নীচে ইংল্যান্ড অলআউট।
১ সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ ইংল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়ার থেকে সাত কম।
২৮ অ্যান্ডারসনের এক ওভারে তুলেছিলেন জর্জ বেইলি। বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ।
৩৭ উইকেট শিকার জনসনের। অ্যাসেজের তালিকায় ন’নম্বরে।
৪৯৩ রান ব্র্যাড হাডিনের। টেস্টে এক সিরিজে সাত নম্বরে নামা ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান। |
|