কোন জাদুকাঠিতে জনসনের সব সমস্যা রাতারাতি উধাও? অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া ফাঁস করেছে কারণটা। জনসনের সব ‘মুশকিল আসান’ নাকি তাঁর বছর খানেকের মেয়ে রুবিকা। জনসন পরিবারে নতুন সদস্য আসার পর থেকেই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে গিয়েছে স্বীকার করেছেন স্বয়ং মিচেলও, “খারাপ একটা দিন বাড়িতে ঢোকার সঙ্গেই ভাল হয়ে যায়, যখন মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসে।” আর মাঠের ভিতরের প্রভাবটা চলতি অ্যাসেজেই স্পষ্ট। যে দাপটে এখন ‘হোয়াইটওয়াশ’-এর মুখে ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ক্রিস রজার্সের হাফ সেঞ্চুরির (৭৩ ব্যাটিং) সুবাদে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১৪০-৪। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৩১১ রানে এগিয়ে মাইকেল ক্লার্করা। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ গ্রাহাম গুচ সব দেখে শেষ বেলায় যে জন্য মন্তব্য করলেন, “কোচ, প্লেয়ার সবার পারফরম্যান্সই খুঁটিয়ে দেখতে হবে। আমরা ব্যাট হাতে চ্যালেঞ্জটা নিতেই পারিনি। হয়তো এখন যা অবস্থা তার থেকে বেরিয়ে উন্নতি করার আগে আরও যন্ত্রণা পেতে হবে আমাদের।”
অজি শিবিরে আবার উল্টো ছবি। আত্মবিশ্বাসে ফুটছে পুরো টিমটাই। পেসার রায়ান হ্যারিস যেমন ম্যাচের পর প্রবল আক্রমণাত্মক ভাবে বলে দিলেন, “ওরা রান পায়নি এটা কাকতালীয় কিছু নয়। সহজ কথাটা হল আমরা ভাল বল করেছি বলেই পায়নি। তবে এখনও কাজটা শেষ হয়নি। সকালে ভাল ব্যাট করে আমাদের আবার আউট করতে হবে ওদের।”
ইংল্যান্ডের ইনিংস থেকে একটাই যা প্রাপ্তি। ফলো অন বাঁচিয়ে ম্যাচটা তৃতীয় দিন গড়ানো নিশ্চিত করা। না হলে জেন ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারটা ধাক্কা খেত। এ দিনই আবার গোলাপি ‘হ্যান্ডল-বার’ গোফের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ‘পিঙ্ক’ টেস্টের মহৎ উদ্দেশ্যকে অভিনব ভাবে সমর্থন জানিয়েছেন জনসন। |