প্রার্থী বাছতে আবেদন চাইছে আপ
৫ জানুয়ারি
গামী লোকসভা ভোটে ১৫ থেকে ২০টি রাজ্যে ও তার সঙ্গে কংগ্রেস-শাসিত হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটে লড়বে আম আদমি পার্টি (আপ)। কংগ্রেস-বিজেপি উভয় দলকেই ভাবনায় ফেলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের এই ঘোষণা। আপ আজ আরও জানিয়েছে, যথেষ্ট আগে থেকে জনসংযোগ গড়ে তুলতে এ মাসেই তারা লোকসভা ভোটের প্রথম দফার প্রার্থী-তালিকা ঘোষণা করবে।
কারা হবেন প্রার্থী? দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমজনতার কাছ থেকে আবেদনপত্র নিয়ে তাঁদের মধ্য থেকেই বেছে নেওয়া হবে প্রার্থীদের। লোকসভা ভোটে যাঁরা প্রার্থী হতে ইচ্ছুক, তাঁদের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে বলেছে আপ শিবির। ভোটযুদ্ধের জমি তৈরি করতে দেশ জুড়ে ১০ থেকে ২৬ জানুয়ারি সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালাবে আপ। ‘ম্যায় ভি আম আদমি’ নামে এই অভিযানে নেতৃত্ব দেবেন গোপাল রাই।
হিসেব মতো হরিয়ানায় নির্বাচন হওয়ার কথা অক্টোবর মাসে। কিন্তু আপ নেতৃত্বের ধারণা, সম্ভবত লোকসভার সঙ্গেই ওই রাজ্যে ভোট হবে। তাই হরিয়ানায় লোকসভা ও বিধানসভার সব ক’টি আসনে লড়বে দল। আপ-এর এই ঘোষণায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব। এআইসিসি মনে করছে, দিল্লির লাগোয়া রাজ্য হরিয়ানাতেও আপ-এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র হুডা এ বার বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছেন বলেই মনে করছেন কংগ্রেসের অনেকে।
বিজেপি অবশ্য এর মধ্যে অন্য সমীকরণ দেখতে পাচ্ছে। দিল্লিতে আপ-এর কারণেই বিজেপি অল্পের জন্য সরকার গড়তে ব্যর্থ হয়েছে। বিজেপি নেতারা মনে করছেন, দিল্লির মতো হরিয়ানাতেও, এমনকী গোটা দেশেই প্রতিষ্ঠান-বিরোধী ভোটে ভাগ বসিয়ে আপ আসলে কংগ্রেসেরই সুবিধা করে দিতে চাইছে। কারণ, দু’টি দলেরই লক্ষ্য হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীকে রোখা। এ-হেন আপ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ও তার সহযোগীদের ভোট কতটা কাটতে পারে তা নিয়ে এখন থেকেই রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। দিল্লি বিধানসভার ভোটে আপ-কে সে ভাবে গুরুত্ব না দেওয়ার ফল ভুগছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে তারা সেই ভুল করতে নারাজ।
কেজরিওয়াল কাল জানিয়েছেন, তিনি লোকসভা ভোটে লড়বেন না, শুধু প্রচার ও রণকৌশল তৈরির দায়িত্ব থাকবেন। আপ সূত্রের খবর, কেজরিওয়ালের ওই সিদ্ধান্তে দলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গাঁধীর মতো হেভিওয়েট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দলের মুখ কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায় দলের অন্দরে। কর্মসমিতির বৈঠকেও আজ দলীয় কর্মীদের এই উদ্বেগের প্রসঙ্গ তোলা হয়। এর পরেই আপ নেতা যোগেন্দ্র যাদব সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভোটে না দাঁড়ালেও তাঁর নেতৃত্বেই দল লোকসভা ভোটে লড়বে।”
সে ক্ষেত্রে কে হবেন দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী? যোগেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, “এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় পড়ে রয়েছে।” আপ সূত্রের খবর, দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের বড় অংশই মনে করছেন, কেজরিওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে লোকসভার লড়াইয়ে না নামলে গোটা দেশে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলবে না। দল যদি ভাল ফল করে, সে ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালকে রাজ্যসভা থেকে জিতিয়ে আনার পথ খোলাই থাকছে। দলের এক নেতার কথায়, “সব রকমের সম্ভাবনা নিয়েই আজ আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সবার আগে লোকসভায় ভাল ফল করতে হবে দলকে।” সেই লক্ষ্যে এখন সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সর্বশক্তিতে ঝাঁপাতে চাইছে কেজরিওয়াল-বাহিনী।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.