গত ক’দিন ধরে মূলত উপকূল এলাকাতেই তার তাণ্ডব চলছিল। কিন্তু আবহাওয়া অফিসের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে এ বার ব্রিটেনের মূল ভূখণ্ডেও আছড়ে পড়তে চলেছে অতলান্তিকের কালান্তক ঝড়। যার জেরে দক্ষিণ এবং পশ্চিম ব্রিটেনে ফের এক প্রস্ত সতর্কতা জারি করেছে পরিবেশ সংস্থা। পাশাপাশি, উত্তর ব্রিটেনে প্রবল তুষারপাতেরও আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।
তবে এ মরসুমে ঝড়ের এ হেন তাণ্ডব ব্রিটেনের বাসিন্দাদের কাছে নতুন কিছু নয়। কিন্তু তার মধ্যেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু ফের খলনায়ক ঝড়। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গত দু’দিন ধরে তার জেরেই দক্ষিণ এবং পশ্চিম ব্রিটেনের সমুদ্রতীরে আছড়ে পড়েছে দৈত্যাকার ঢেউ। ডেভন এবং কর্নওয়ালের সমুদ্রতটে একই রকম ঢেউয়ের তাণ্ডব চলবে আগামী বেশ কয়েক ঘণ্টা। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বন্যার আশঙ্কাও। আবহাওয়া অফিসের মতে, শনিবার রাতে প্রবল বৃষ্টির জেরে সেভার্ন নদী ফুঁসে উঠে পাড় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। আর তার পর থেকেই আশপাশের দু’টি গ্রাম সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
অবস্থা জটিলতর হয়েছে কিছু দুঃসাহসিক ঝড়-শিকারিকে বাঁচাতে গিয়ে। ঝড়ের ছবি তুলতে গিয়ে ওয়েলসের আবেরিসটুইথের এক জেটিতে আটকে পড়েছিলেন বছর একুশের তরুণ এডওয়ার্ড ল্যাক্সটন। সেখানে তখন প্রবল জোরে আছড়ে পড়ছে ঢেউ। জলের তোড়ে কিছু স্পষ্ট করে দেখাই দায়। তার মধ্যেই এডওয়ার্ডকে ‘লাইফ বোটে’ তুলে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলার সঙ্গে এখন এই ঝড়-প্রেমীদের বাঁচানো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন উদ্ধারকারী দল ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় যথেষ্ট খুশি। তাতে অবশ্য আশঙ্কার মেঘ এখনই উড়ে যাচ্ছে না ব্রিটেনের আকাশ থেকে। বিশেষত, ওয়েব্রিজ, গিল্ডফোর্ড, অক্সফোর্ড, ডরসেটের মতো জায়গায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। গ্লস্টারশায়ারেও দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মীরা।
|