বড় ম্যাচে কণিকাকে নামানোর ভাবনা রেফারি সংস্থার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দেশের প্রথম মহিলা রেফারি হিসেবে বড় ক্লাবের ম্যাচে বাঁশি মুখে নেমে ইতিহাসে নাম তুলে ফেলেছেন কণিকা বর্মন। মাঠে শিলিগুড়ির মেয়ের দৃঢ়তা ও দক্ষতায় খুশি কলকাতা রেফারি সংস্থার কর্তারা। যাঁরা এ বার কণিকাকে বড় ম্যাচের প্যানেলে রাখার কথা ভাবতে শুরু করেছেন। যাতে আরও বেশি অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে নিতে পারেন তিনি।
শোনা যাচ্ছে, সোমবার কলকাতা লিগের মোহনবাগান-মহমেডান ম্যাচের রেফারি তালিকায় থাকতে পারে কণিকার নাম।
এমনিতে রেফারিদের প্যানেল অত্যন্ত গোপনে তৈরি হয়। তাই আইএফএ বা কলকাতা রেফারি সংস্থার কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি। জানা গিয়েছে, বাংলার বেশির ভাগ জাতীয় রেফারি ফিটনেস টেস্ট দিতে বাইরে যাচ্ছেন। সে জন্য ছ’জনের প্যানেলে রাখা হচ্ছে কণিকাকে। এর থেকেই চার জনের চূড়ান্ত প্যানেল বাছা হবে। সে ক্ষেত্রে কণিকা চতুর্থ রেফারি হতে পারেন। রেফারি সংস্থার এক কর্তা বললেন, “আমরা চাই কণিকা বড় ম্যাচে মাঠে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করুক। সে জন্যই ওকে প্যানেলে রাখার কথা ভাবছি আমরা।” কলকাতা লিগের ডার্বিতে এ বার আর বিদেশি রেফারি আনছে না আইএফএ। ১১ জানুয়ারির ম্যাচে বাংলারই কোনও রেফারিকে বাঁশি মুখে দেখা যেতে পারে। |
|
আইএফএ অবশ্য ডার্বির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা এড়াতে ‘ভিআইপি এম’ অর্থাৎ ভিআইপির মাঝের ব্লকের কোনও টিকিট বিক্রি করবে না আইএফএ। নির্বিঘ্নে মহিলা সমর্থকরা যাতে খেলা দেখতে পারেন সে জন্য আলাদা একটি ব্লক রাখার কথাও ভাবছে আইএফএ। সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “যাঁরা পরিবার নিয়ে আসতে চান বা যদি মহিলারা খেলা দেখতে আসেন, তাঁদের জন্য আলাদা ব্লকের কথা ভাবছি।”
এ দিকে আই এফ এ শিল্ড খেলতে আসছে বাংলাদেশের ক্লাব শেখ জামাল এফ সি। এই দলটি বাংলাদেশের প্রয়াত প্রথম প্রেসিডেন্ট মুজিবর রহমানের ছেলের।
শিল্ডে অবশ্য আরও একটি বিদেশি দলকে আনার চেষ্টা হচ্ছে। ইংল্যান্ডের তিনটি দলের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। এই দল তিনটির মধ্যে আর্সেনালের যুব দল রয়েছে। এ ছাড়াও শেফিল্ড ইউনাইটেড ও নরউইচ সিটির নাম আছে তালিকায়। দক্ষিণ কোরিয়ার দু’টি ক্লাবের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। এই পাঁচটি টিমের যে কোনও একটি দলের শিল্ড খেলতে আসার কথা। |
পুরনো খবর: বাঁশি হাতে ২২ পুরুষ সামলে সেরা কণিকাই |
|