|
|
|
|
রাহুলকে নিয়ে কোন ঘোষণা ১৭ই, প্রশ্ন সেটাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৪ জানুয়ারি |
মনমোহন সিংহের কার্যত অবসর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাহুল-পর্বের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দিল কংগ্রেস। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ১৭ জানুয়ারি সর্বভারতীয় কংগ্রেসের মহা অধিবেশনে রাহুলকে নিয়ে একটা বড় ঘোষণা হচ্ছেই। সেই অধিবেশনে তাঁর নাম একেবারে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবেই তুলে ধরা হবে, নাকি সভাপতি বা কার্যকরী সভাপতি হিসেবে, তা নিয়ে এখনও সামান্য দোলাচল রয়েছে। তবে মূল বার্তা এই হবে যে, লোকসভা ভোট রাহুলের নেতৃত্বেই লড়বে কংগ্রেস এবং তিনিই এখন ‘সুপ্রিম কম্যান্ডার’।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, কাল-পরশুর মধ্যে বিদেশ থেকে ফিরবেন রাহুল। তার আগে আজ গুরুদ্বারা রেকাবগঞ্জ রোডে কংগ্রেসের ওয়ার রুমে রাজনৈতিক ম্যানেজারদের দীর্ঘ বৈঠক হয়। সেখানে কী রণকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে, পরে তা সনিয়া ও রাহুল গাঁধীকে চিঠিতে জানান কংগ্রেসের নির্বাচনী সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক জয়রাম রমেশ। আগামী ১৬ তারিখ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছেন সনিয়া। তার পরের দিনই মহা অধিবেশন। কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন, রাহুলের ভূমিকা নিয়ে এখন আর ধন্দ উচিত নয় এবং তার সময়ও নেই। রাহুলকে এখনও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা না হলে নরেন্দ্র মোদীরা বলতে পারে যে, তিনি ভয় পাচ্ছেন। তার চেয়েও বড় কথা, মূল্যবৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের ব্যর্থতার দায় প্রধানমন্ত্রী নেওয়ার পর রাহুলের সামনে রাস্তা পরিষ্কার হয়েই গিয়েছে।
আবার কিছু নেতার যুক্তি, রাহুলকে আগেভাগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটে যাওয়ার পর শেষে যদি তৃতীয় ফ্রন্টের কোনও নেতাকে প্রধানমন্ত্রী পদে সমর্থন জানানোর পরিস্থিতি তৈরি হলে তা অস্বস্তিকর হবে। আবার ভোটের পর খুব নড়বড়ে জোট নিয়ে রাহুলকে সরকার গড়তে হলে সেটাও অস্বস্তির। এতে রাহুলের নেতৃত্ব দুর্বল হবে। কংগ্রেসের গঠনতন্ত্রে আমূল সংস্কারের যে স্বপ্ন তিনি দেখছেন, তা বাস্তবায়িত করাও তখন কঠিন হবে।
রাহুল-শিবিরের এই নেতাদের বক্তব্য, ১৭ তারিখের মঞ্চ থেকে বরং সনিয়া-পুত্রকে দলের কার্যকরী সভাপতি বা সভাপতি ঘোষণা করা হোক। সে ক্ষেত্রেও বার্তা দেওয়া যাবে যে, দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী তিনিই। ২০০৪ সালে সনিয়া গাঁধী দলের সভানেত্রীই ছিলেন। বিদেশিনি ইস্যু না থাকলে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় কোনও বাধা ছিল না। রাহুলের ক্ষেত্রে তো সেই সমস্যা নেই। বরং তাঁকে সভাপতি করা হলে ভোটে যা-ই হোক না কেন, তাঁর নেতৃত্ব অটুট থাকবে।
এক শীর্ষ নেতা আজ জানান, রাহুলের ভূমিকা যা-ই হোক, তাঁর নেতৃত্বেই যে দল ভোটে লড়বে, তাতে সন্দেহ নেই। তাই ১৭ তারিখের আবহ রচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুলের নাম ঘোষণার জন্য মহিলা কংগ্রেস প্রস্তাব নিয়েছে। এ বার প্রদেশ কংগ্রেসগুলির তরফেও একই রকম প্রস্তাব পাঠানো হবে সনিয়ার কাছে।
শেষ পর্যন্ত ঘোষণা যা-ই হোক, এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বার উচ্চপদে রাহুলের অভিষেকের ‘কাউন্ট ডাউন’ কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে। |
পুরনো খবর: রাহুলের যোগ্যতা অসাধারণ, দল ঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেবে |
|
|
|
|
|