দ্বিতীয় দফায় জিটিএ চিফ হয়েই দল ছেড়ে চলে যাওয়া নেতা কর্মীদের দলে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে কার্যত ঘর গোছাতে আরম্ভ করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। পক্ষান্তরে, পাহাড়ের বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের দলে টানা বজায় রেখেছে শাসক দল তৃণমূলও।
গত বৃহস্পতিবার জিটিএর সদর দফতর লালকুঠিতে এসে জিটিএ-এর চিফের কাজ শুরু করেছেন বিমল গুরুঙ্গ। শুক্রবার গুরুঙ্গ দাবি করেছেন, এক সময়ে দল ছেড়ে চলে যাওয়া যুব মোর্চার ৫৩ জন নেতা সমর্থক এ দিন ফের দলে যোগ দেন। দার্জিলিঙের সিংলা, আলুবাড়ি, সিঙমারি থেকে ওই নেতা সমর্থকরা মাসখানেক আগে তৃণমূলে যোগ দেন বলে মোর্চা সূত্রের খবর। এ দিন সিংমারিতে মোর্চার পার্টি অফিসে ওই সমর্থকদের হাতে দলের পতাকা তুলে দিয়েছেন বিমল গুরুঙ্গ। তাঁর কথায়, “মূলত বেকার যুবকরা কাজের আশাতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এখনও যাঁরা দল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছিলেন তাঁদের বোঝা উচিত যে, দলের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। কিন্তু দল ছাড়লে সমস্যা ছাড়া অন্য কিছু তৈরি হতে পারে না।” মোর্চা ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে এ দিন গুরুঙ্গ বলেন, “জিটিএ-এর মেয়াদ পূর্ণ হতে এখনও চার বছর বাকি রয়েছে। এই সময়ে অনেক উন্নয়ন হবে, বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তাই এখনও দল ছেড়ে গিয়ে তৃণমূলে রয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসার অনুরোধ করছি। জিটিএ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে আমার হাতে কোনও উন্নয়নের সুযোগ ছিল না। কারও সমস্যা থাকলে খোলাখুলি আমাকে বলতে পারেন।” পাহাড়ে তৃণমূলের সংগঠনে জোর নেই বলেও গুরুঙ্গ দাবি করেছেন।
যদিও এ দিন-ই তৃণমূলের পাহাড় কমিটির মুখপাত্র বিন্নি শর্মা পাল্টা দাবি করে জানিয়েছে, শতাধিক মোর্চা সমর্থক শুক্রবারে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কাউকে দলে টানা হয়নি। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কাজে উদ্বুদ্ধ হয়েই সকলে দলে যোগ দিয়েছেন। শুক্রবার শতাধিক মোর্চা সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন।”
এ দিকে গত বৃহস্পতিবার ধৃত মোর্চা সমর্থক তথা জিটিএ সদস্য নিমা তামাঙ্গ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এখনএও ৬ জন জিটিএ সদস্য জেল বন্দি রয়েছে। এদিন তৃণমূল থেকে সমথর্র্কদের দলে ফেরানোর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে নরম মনোভাব-ই দেখিয়েছিল গুরুঙ্গ। তিনি বলেন, “জিটিএ এবং রাজ্য সরকার একসঙ্গেই কাজ করবে। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়ন নিয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, উন্নয়নের কাজে তিনি রাজনীতি পছন্দ করেন না বলেও জানিয়েছেন।” |