দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখে কংগ্রেস পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে বাইক মিছিল করে জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল যুব তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার ওই মিছিলে অন্তত সাতশো বাইক ছিল বলে সংগঠনের দাবি। শহরের প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকা মিছিলে শহরে যানজটে বাসিন্দাদের নাকাল হতে হয়। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “উন্নয়নের কথা বলে মিড ডে মিল থেকে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য উদ্যান তৈরি সমস্ত প্রকল্পের টাকা লুঠ হয়েছে। তথ্য জানার অধিকারে চিঠি দিয়েও উত্তর মেলেনি। তাই জেলা প্রশাসনের কাছে ভিজিলেন্স তদন্ত করে পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবি করা হয়েছে।” |
জলপাইগুড়িতে মোটরবাইক মিছিলে তৃণমূল। শুক্রবার। ছবি: সন্দীপ পাল। |
যদিও সৈকতবাবুদের তোলা দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দেন পুরসভার কংগ্রেস চেয়ারম্যান মোহন বসু। তাঁর পাল্টা দাবি, “একই নাটক দেখছি। ওদেরই তো সরকার। এত মিটিং মিছিলের কী আছে? যে কোনও সময় পুর-দফতরের কর্তারা এসে সব খতিয়ে দেখুন না!” সৈকতবাবুর সঙ্গেই সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সন্দীপবাবু বলেন, “আমরা দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলেছি, সেটার জবাব না দিয়ে এ ভাবে প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে লাভ হবে না।”
এ দিন যুব তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, মিড ডে মিলের প্রকল্প থেকে ১ কোটি টাকা, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য উদ্যান তৈরির নামে ২ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন ক্ষমতাসীন পুরবোর্ড। এ ছাড়াও আরও কিছু প্রকল্পে তছরুপ নিয়ে দুর্নীতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। ওই সমস্ত প্রকল্পের টাকা কেমন করে কোথায় খরচ করা হয় সেটা জানার জন্য গত ১২ ডিসেম্বর তথ্য জানার অধিকার আইনে পুরসভায় চিঠি পাঠানো হয় বলে অভিযোগ করে, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি বলেন, “চিঠির উত্তর আজও মেলেনি। দুর্নীতির সমস্ত তথ্য পুর কর্তারা সরিয়ে ফেলতে পারেন, ওই কারণে পুরসভার সব নথি বাজেয়াপ্ত করার দাবিও জানানো হয়েছে।”
ভাইস চেয়ারম্যান তথা শহর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “যে কোনও তদন্তকারী দল আসুক। দেখে এর পরে আর তো কিছু বলার থাকে না।” এ দিন জেলাশাসক বাইরে থাকায় পরে যুব তৃণমূলের প্রতিনিধি দল দফতরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেন। |