ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকায় বাগডোগরায় বিমান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল শুক্রবার। বিকেল পর্যন্ত আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় বাগডোগরা থেকে দিল্লি এবং কলকাতার চারটি উড়ান বাতিল করে দেওয়া হয়। এ দিন দুপুরে দিল্লি থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি বাগডোগরার উপরে দু’বার চক্কর খেয়ে কলকাতায় ফিরে যায়। এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই বিমানটিকে এ দিন বিকেলে ফের দিল্লি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিমান বিভ্রাটের জেরে এ দিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামতে পারেননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকল রায়। দুপুরে আলিপুরদুয়ারে দলের সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল মুকুলবাবুর। |
সকাল ৯টা। কুয়াশা ঢাকা শিলিগুড়ি। শুক্রবার ছবি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক। |
এয়ার ইন্ডিয়ার মতোই একটি বেসরকারি সংস্থার বিমান বাতিল হয়ে যাওয়ায় দমদম বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে ফিরে যেতে হয় বলে দল সূত্রে জানানো হয়। আজ শনিবার, জলপাইগুড়িতে সভা আছে মুকুলবাবুর।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কল্যাণকিশোর ভৌমিক বলেন, “শুক্রবারে সকাল থেকেই কুয়াশার কারণে দৃশমান্যতা কম ছিল। সবকটি বিমান চলাচল বিপর্যস্ত হয়েছে।” বাগডোগরা বিমানবন্দরের এয়ার ইন্ডিয়ার স্টেশন ইনচার্জ ভাস্কর রায় জানিয়েছে, এদিন বাতিল হয়ে যাওয়া বিমানের যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য শনিবারে অতিরিক্ত একটি বিমানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি। শুক্রবার সকাল এবং দুপুরেও দুই শহর ছিল কুয়াশায় ঢাকা। সকাল দশটাতেও এদিন শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, জলপাইগুড়ির কদমতলা, বেগুনটারিতে আলো জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গিয়েছে। কুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে ট্রেন চলাচলও। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বঙ্গাইগাঁও প্যাসেঞ্জার ট্রেন প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করেছে।
এ দিন শুক্রবার রাতেও ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় শিলিগুড়ি শহর। কুয়াশায় দৃশ্যমানতা এতটাই কমে যায় যে এয়ার ভিউ মোড় থেকে হিলকার্ট রোডও অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। রাত দশটা নাগাদ শিলিগুড়ি শহরে যান চলাচলও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। একই রকম ভাবে জলপাইগুড়ি শহরেও রাতে ঘন কুয়াশা দেখা গিয়েছে। |