তল্লাশির নামে মূল স্রোতে ফিরে আসা এক সন্দেহভাজন মাওবাদী জঙ্গির বাড়িতে হামলা, গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে আলিপুরদুয়ার থানার দক্ষিণ সলসলাবাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মূলস্রোতে ফিরে আসা ওই ব্যক্তির নাম রতন রায়। তাঁর অভিযোগ, তল্লাশির নামে বাড়িতে ঢুকে দরজা ভেঙে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। যদিও পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ। রতন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ। তাঁকে না পেয়ে শুক্রবার সকালে থানায় দেখা করার জন্য বলা হয়।”
তবে রতনবাবু পুলিশের দাবি মানতে চাননি। তিনি বলেন, “এক সময় মাওবাদী কর্মী হিসাবে উত্তরবঙ্গে প্রচারের কাজে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু মাওবাদীদের সশস্র আন্দোলন নিয়ে আমার সঙ্গে মতবিরোধ হয়। আমি মাওবাদী সংস্রব ত্যাগ করি। অথচ পুলিশ আমাকে কেএলও এবং মাওবাদী জঙ্গি হিসাবে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসায়। তিন দফায় আমি জেল খাটি। কিন্তু গত তিন বছর ধরে আমি সে সব ত্যাগ করে মূলস্রোতে ফিরে আসি। অনেক ঘুরেও সরকারি কোনও সাহায্য পাইনি। জমি বন্ধক রেখে অটো রিক্শা কিনেছি। নিজেই চালাই। এ ছাড়া সামান্য জ্বালানি কাঠের ব্যবসা করি।”
তিনি জানান, তাঁর বাড়িতে স্ত্রী এক সন্তান ও মা ও দৃষ্টিহীন বাবাকে নিয়েো থাকেন। তাঁর দাদা বায়ুসেনায় কাজ করেন। তিনি হাসিমারায় থাকেন। রতনবাবুর বাবা ও মা দুজনেরই দাবি, “ছেলে কোনদিন জঙ্গি ছিল না। পুলিশ ওকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে কাগজে-কলমে জঙ্গি বানিয়েছে। ছেলে যখন শান্তিতে ঘর-সংসার করতে চাইছে সে সময় এ ধরনের হয়রানি মানতে পারছি না।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রতন রায় ২০০৫ সালে শামুকতলা থানার পুলিশের হাতে মাওবাদী সন্দেহে গ্রেফতার হন। সাড়ে চার মাস জেল খাটার পরে ছাড়া পান। ওই বছরই ইসলামপুর পুলিশ মাওবাদী কার্যকলাপ ও বেশ কয়েকটি নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করে তাঁকে। ২০০৯ সালে ফের একই অভিযোগে বক্সিরহাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে। |