বনধের বিরোধিতা করল দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস |
কেপিপি-র বন্ধের হুমকি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের পাশেই দাঁড়াল দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস। আগামী ২০ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর শিলিগুড়ি সফরকালীন বন্ধ ডাকার হুমকি দিয়েছেন কেপিপির সভাপতি অতুল রায়। যা কোনওভাবেই সমর্থন করবেন না বলে জানিয়ে দিলেন দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার। শুক্রবার শিলিগুড়িতে একথা জানিয়ে শঙ্করবাবু বলেন, “কোনও রকম বন্ধ, যা মানুষের ক্ষতি করে, তাতে কংগ্রেস কখনও সমর্থন করে না। তা সে যেই ডাকুক না কেন।” যদিও কেপিপি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। জলপাইগুড়ি বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করছেন তিনি। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ১০ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গের ৬ টি জেলায় জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও ও স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন অতুল। অনুমতি না পেলে ২০ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর সফরের দিন উত্তরবঙ্গ জুড়ে বনধ ডাকবেন বলেও হুমকি দেন অতুল। তারপরেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়ে দেন, কোনও রকম বিক্ষোভ অবস্থান বা স্মারকলিপি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না কেপিপিকে। তবে এ দিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুশাসনের অভিযোগ তুলে সরব হয় কংগ্রেস। শুক্রবার দুপুর একটায় শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে মানব বন্ধন করে প্রতিবাদ জানালেন দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। নবান্নের সামনে সাংবাদিক নিগ্রহ, মধম্যগ্রামের গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীর শাস্তি বিধানের দাবিতে হাসমিচকে জমায়েত করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। হাসমিচক থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে মানববন্ধন করা হয়। যদিও এর ফলে কোথাও যানজটের সমস্যা হয়নি বলে দাবি কংগ্রেসের। শঙ্করবাবুর নেতৃত্বে মানব বন্ধনে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সুবীন ভৌমিক, জীবন মজুমদার-সহ অন্যরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক মানব বন্ধন করা হয়। |
স্কুলে বিক্ষোভ শিলিগুড়িতে |
নতুন ক্লাসে ওঠার ক্ষেত্রে ছাত্রদের বার্ষিক ফি মাত্রাতিরিক্ত বাড়ানোর প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। শুক্রবার শিলিগুড়িতে ছেলেদের হিন্দি হাই স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, ১৩০০ টাকা বার্ষিক ফি বাড়িতে ১৯০০ টাকা করা হয়েছে। তা ছাড়া নতুন ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা নেওয়া হত। তা আরও ৫৭৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তা নিয়েই এ দিন অভিভাবকেরা সরব হন। অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক সন্দীপন ভট্টাচার্য বলেন, “অন্যায় ভাবে এ ভাবে ফি বাড়ানো হচ্ছে। সরকারের তরফে স্কুলের শিক্ষকেরা বেতন পান। অথচ আদালতে মামলা করে কর্তৃপক্ষ সংখ্যালঘুদের স্কুল হিসাবে সুবিধা ভোগ করছে। এটা চলতে পারে না। কেন না তারা সংখ্যালঘু স্কুলের নিয়ম মানছে না। জেলাশাসককের হস্তক্ষেপ দাবি করে তাঁকে শীঘ্রই বিস্তারিত জানাব।” স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে জানানো হয়, স্কুলটি এক সময় সরকারি ছিল। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তথা এক ব্যক্তি সংখ্যালঘু স্কুল হিসাবে তা দাবি করে আদালতে মামলা করে। সেই হিসাবে ২০০৩ সাল থেকে এক সদস্যের পরিচালন কমিটিই ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষ হিসাবে কাজ করছে। এক সময় সরকারি ভাবে মনিটরিং কমিটিও ছিল। কিন্তু পরে তা ভেঙে দেওয়া হয়। তাই স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে সরাসরি কিছু করাও সম্ভব হচ্ছে না। সমস্যা না মেটা পর্যন্ত এ দিন ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা স্কুলের বার্ষিক ফি দেওয়ার স্থগিত রাখেন। পুরনো হারে তারা ফি নেওয়ার দাবি তুলেছেন। সমস্যা না মেটা পর্যন্ত তারা লাগাতার বিক্ষোভ অবস্থান করবেন বলে জানান। |
সিপিএম ও কংগ্রেস থেকে প্রায় এক হাজার সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে তৃণমূলের দাবি। শুক্রবার শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায়, পাঁচকেলগুড়িতে নতুন সদস্যদের দলে স্বাগত জানান জেলা নেতৃত্ব। এদিন স্থানীয় মকবুল বস্তি বাজারে একটি অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রদেশ তৃণমূল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সংখ্য্যলঘু সেলের চেয়ারম্যান নাসির আহমেদ, জেলা নেতা নান্টু পাল, শ্রমিক নেতা অলক চক্রবর্তী প্রমুখরা। |
শিলিগুড়ির হিন্দি মাধ্যম স্কুলগুলিতে আসন সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে মহকুমা শাসককে স্মারকলিপি দিল এসএফআইয়ের দার্জিলিং জেলা শাখা। শুক্রবার। |