মান্না দে মঞ্চে মিলল রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে লোকসঙ্গীত। গ্রেটার শিলিগুড়ি পাবলিশার্স এণ্ড সেলার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ৩১ তম উত্তরবঙ্গ বইমেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চের নাম মান্না দে’র স্মৃতিতে রাখা হয়েছিল। শিলিগুড়ির সৃষ্টি মিউজিক আকাদেমি এবং উজানের শিল্পীদের বৃন্দগান শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। জয়তী ভট্টাচার্য, মৌসুমী দাশগুপ্ত, কেয়া বিশ্বাসের রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশাপাশি বিপুল দাসের লোকসঙ্গীতও শ্রোতাদের কাছে সমাদৃত হয়। অমিতাভ ঘোষের পরিচালনায় কথকতার শিল্পীদের আবৃত্তি, উবাচের পারমিতা দাশগুপ্তের নির্দেশনায় কবিতার ক্যানভাসে মেয়েদের গল্প পরিবেশিত হয়। আধুনিক গান পরিবেশন করেন বিনীতা পাল, সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায়, মিন্টু গোস্বামী, জয়া গোস্বামী, ধ্রুবজ্যোতি সরকার, প্রসূন হালদার, রিনি দাস। নৃত্য নন্দন, নৃত্য ছন্দম, নৃত্য মন্দিরম, অনুরণন এবং পদম ড্যান্স অ্যাকাডেমির নৃত্যশিল্পীরাও বইমেলার মঞ্চ মাতিয়ে তোলে। সাংস্কৃতিক মঞ্চেই বিবেকানন্দের জীবন বিষয়ে আলোচনা করেন দার্জিলিং রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী নিত্যসত্যানন্দ মহারাজ। ‘কবিতা আমার আশাবরী ভৈরব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে কবিরা যোগ দেন। |
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার সেন্ট যোসেফ স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। —নিজস্ব চিত্র। |
১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর, দু’দিন ধরে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া সেন্ট যোশেফ’স হাই স্কুলের দ্বিবার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হল। আদ্যন্ত ইংরেজি মাধ্যম স্কুল হলেও বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই একটি সর্বাঙ্গ সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক থেকে উঁচু ক্লাসের ছাত্রীদের দিয়ে অভিনব আঙ্গিকে উদ্বোধনের নাচটি সকলেরই প্রশংসা পেয়েছে। গোটা অনুষ্ঠানে বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি গানের ভারসাম্য যে ভাবে বজায় রাখা হয়েছে তা অভিভাবকদের অনেককেই মুগ্ধ করেছে। বিশেষত, সদ্য প্রয়াত প্রবাদ প্রতিম সঙ্গীত শিল্পী মান্না দের স্মরণে ছাত্রীদের দিয়ে গানের আয়োজন মন কেড়েছে সকলেরই। ছোটদের নাচ, গান নাটকও প্রশংসিত হয়েছে দর্শক-শ্রোতাদের কাছে। অপেক্ষাকৃত উঁচু ক্লাসের ছাত্রীদের নাচ-গান-অভিনয়ও বেশ ভাল। ছিমছাম অনুষ্ঠানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল সুশৃঙ্খল। উদ্যোক্তারা তরফে জানানো হয়েছে, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রীদের সম্মিলিত প্রয়াসেই অনুষ্ঠান
সফল হয়েছে। |
আগামী ১২ জানুয়ারি শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীদের আর্থিক অনুদান তুলে দিয়ে সাহায্য করবে শিলিগুড়ি সুভাষপল্লি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। সেই সঙ্গে সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানেরও আয়োজন থাকবে ওই দিন। অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন উবাচ এবং বলাকা নাট্যগোষ্ঠী। পার্থপ্রতিম মিত্রের লেখা শ্রুতিনাটক অমৃতসমান নিবেদন করবেন উবাচের শিল্পীরা, এ ছাড়াও কবিতার কথা বলছি শীর্ষক একটি কবিতার কোলাজ, এবং রবীন্দ্রনাথ এবং জীবনানন্দ দাশের কবিতার নৃত্যায়নও দর্শকদের উপহার দেওয়া হবে। |
প্রকাশিত হল ‘শুধু কবিতার জন্য’। গত ২৮ নভেম্বর উত্তরকবঙ্গ বইমেলায় বইটি প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ করেছেন নাট্য ব্যক্তিত্ব মনোজ মিত্র। বাচিক শিল্পের সৃষ্টিশীল সাংস্কৃতিক সংস্থা উবাচের কর্ণধার পারমিতা দাশগুপ্তের তরফে প্রকাশিত এই বইয়ে কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের ২৬ জন কবির কবিতা রয়েছে। |