দিনহাটার ১ ও ২ ব্লকে অপরাধমূলক নানা ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসনের কাছে আর একটি থানার তৈরি করার দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীরা। দু’টি ব্লকের ২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিশাল এলাকায় নজরদারি চালাতে হিমসিম খায় দিনহাটা থানার পুলিশএই অভিযোগ তুলে রাজ্য পুলিশে উত্তরবঙ্গের আইজি শশীকান্ত পুজারির দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতি। শুধু ব্যবসায়ীরাই নয়, সাধারণ মানুষেরাও দাবি, দিনহাটার দু’টি নম্বর ব্লকের জন্য আরও একটি থানা হোক। এসডিপিও পদমর্যাদার এক অফিসার দিনহাটায় নিয়োগ করা হোক। আইজি উত্তরবঙ্গ বলেন, “পুলিশের শক্তি বৃদ্ধি করতে নানা পরিকল্পনা আছে। তবে তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত করা হবে।”
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সম্প্রতি দিনহাটার এক জন তামাক ব্যবসায়ীর মোবাইলে ফোন করে টাকা দাবি করে কেএলও। শোলমারি এসাকায় সমবায় সমিতির অফিস থেকে নগদ, সোনা মিলিয়ে ২৫ লক্ষ টাকা চুরি হয়। এ ছাড়া একাধিক ঘটনার কিনারা হয়নি। দিনহাটা নাগরিক সমিতির সম্পাদক জয়গোপাল ভৌমিক এ প্রসঙ্গে বলেন, “দিনহাটায় অপরাধমূলক নানা কাজ ঠেকাতে নতুন থানা ও তদারকির জন্য এসডিপিও-র নিয়োগ প্রয়োজন। এই দাবিতে আমরা আন্দোলনে নামব।”
কোচবিহার জেলায় কোতোয়ালির পরেই দিনহাটা এলাকা। কোতোয়ালি এলাকায় ৩৩টি পঞ্চায়েত রয়েছে। থানায় পুলিশ কর্মীর সংখ্যাও বেশি। পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ পদস্থ কর্তাদের অফিস আছে। কোচবিহার শহর থেকে দিনহাটার দূরত্ব ২৫ কিমির বেশি। দিনহাটা থানা এলাকার মধ্যে এক দিকে চৌধুরীহাট, এক দিকে গীতালদহ, গোসানিমারির মতো এলাকা রয়েছে। দূরত্ব দিনহাটা থানা থেকে ২৫ কিলোমিটারের মত। ওই থানা এলাকার বেশির ভাগ অংশ বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ঘেরা। ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমরা আইজি’র দ্বারস্থ হচ্ছি।” |