এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ রায়গঞ্জ থানার বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত লাগোয়া রায়গঞ্জ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাশিবাটি রোডের ধারের একটি মাঠ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শান্তনু দাস(২৬)। বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায়। রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র শান্তনুবাবু। বর্তমানে প্রাইভেট টিউশন পড়াতেন। এদিন বিকালে সাইকেলে চেপে বাড়ি থেকে বার হন শান্তনুবাবু। পুলিশের সন্দেহ, সন্ধ্যায় রায়গঞ্জের অশোকপল্লি থেকে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় কাশিবাটি রোড এলাকায় মোটরবাইকে চেপে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁকে আটক করে। এরপর ইট বা ভারি কিছু দিয়ে থেঁতলে খুন করে। নিহতের মাথায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে!।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি মোটরবাইক এবং সাইকেল উদ্ধার করেছে। সাইকেলটি শান্তনুবাবুর। মোটরবাইকের চালকের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, বাইকটি দুষ্কৃতীদের। তবে দুষ্কৃতীরা কেন সেটি ফেলে পালাল তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেভিড ইভান লেপচা, রায়গঞ্জ থানার আইসি দীনেশ প্রামাণিকরা। নিহতের পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশিরা দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশ কর্তাদের দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। তাতে মৃতদেহটি উদ্ধার করতে সমস্যায় পড়তে হয় পুলিশকে। দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠান হয়। পুলিশ সুপার বলেন, “দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। প্রণয়ঘটিত কোনও কারণে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শান্তনুবাবু এলাকায় ভাল ছেলে বলে পরিচিত ছিলেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে শান্তনুবাবুই সবচাইতে ছোট। বাবা রবীন্দ্রনাথবাবু অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী। এক দাদা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পুলিশে চাকরি করেন। বাকি তিন দাদা ছোটখাটো ব্যবসা এবং কাজে যুক্ত। শান্তনুবাবুর এক দাদা নিমুবাবু বলেন, “ভাই কোনওদিন কোনও রকম গোলমালের সঙ্গে যুক্ত থাকত না। সবসময় নিজের এবং বাড়ির কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকত। যারা ভাইকে খুন করল তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।” |