|
|
|
|
সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেই কলেজে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
পানীয় জলের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই, নেই শৌচাগারে পরিচ্ছন্নতার বালাই, নেই নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা, থেকে নেই ক্যান্টিন—সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে পরিমল মিত্র স্মৃতি কলেজে। সুরাহা কবে হবে জানেন না পড়ুয়ারা। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই সমস্যার মধ্যেই পড়াশুনো করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
শিলিগুড়ি-বীরপাড়া ১১০ কিমি-র মধ্যে এটিই একমাত্র কলেজ। শুধু জলপাইগুড়ি জেলাই নয় দার্জিলিঙের কালিম্পং মহকুমার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে পড়ুয়া আসেন। এক পাশে মাল নদী, অন্য তিন দিকে চা বাগান ঘেরা এই কলেজ দৃশ্যত রাজ্যের অন্যতম সুন্দর হলেও পরিষেবা, গুনগত মানে পিছিয়ে পড়ছে বলে ক্ষোভ পড়ুয়াদের।
কলেজের মূল গেটের দু’টি পাল্লাই হাট করে খোলা, দ্রুত গতিতে মোটর বাইক, গাড়ি প্রবেশ করছে। কলেজ ক্যাম্পাসে নেই দ্বাররক্ষী। ফলে প্রায়ই সেখানে বহিরাগতেরা ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। কার্যত নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে মালবাজার পরিমল মিত্র স্মৃতি কলেজ। কলেজে ছাত্র সংঘর্ষের মতো কিছু ঘটনা এ কারণেই রুখতে সমস্যা হচ্ছে বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ। ছাত্র রিশপ রায়, শুভজিত ঘোষ প্রত্যেকেই একসুরে জানান, কলেজ চলাকালীন গেটে নিরাপত্তাকর্মীর থাকাটা জরুরি। গত ক’বছরে বিভিন্ন কলেজে যে ভাবে সংঘর্ষের ঘটনা বেড়েছে তাতে মালবাজার কলেজে গেট বন্ধের ব্যবস্থা না থাকায় অবাক হয়েছে পুলিশও।
জলের সমস্যাও রয়েছে কলেজে। চার হাজারেরও বেশি ছাত্র ছাত্রীর এই কলেজে কল ৩টি। শৌচাগারের ঠিক পাশেই তা থাকায় দুর্গন্ধে জল খেতেও সমস্যা হয়। পরিচ্ছন্নতার সমস্যা আছে মেয়েদের কমন রুমের শৌচাগারেও। প্রথম বর্ষের পিঙ্কি বেগম বললেন, “আমার বাড়ি কলেজ থেকে ৩৫ কিমি দূরে মৌলানিতে। দিনের বেশির ভাগ সময় কলেজেই কাটাই। শৌচাগারটা সাফসুতরো থাকলে সুবিধা হয়।” আর এক ছাত্রী সায়ন্তনী সরকার বলেন, “ক্যান্টিনের অবস্থা বেহাল। সেখানে কলের ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘ দিন ধরে এই রকম থাকলেও ক্যান্টিন সংস্কারে কেউ উদ্যোগী হয়নি। দিনের বেলাতে বেশ কিছু ঘরে যথেষ্ট আলো পৌঁছয় না।” এ জন্য জেনারেটর কেনা হলেও শেষ কবে তা চালানো হয়েছিল, তা অবশ্য মনে করতে পারছেন না পড়ুয়ারা।
তবে সব সমস্যা সমাধানে কলেজ কর্তৃপক্ষ তত্পর বলেই দাবি করেছেন মালবাজার কলেজের অধ্যক্ষা নন্দিতা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সম্প্রতি কলেজের গেটে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। গেটের পাশে রক্ষীর ঘর করে তা বন্ধ করে রাখা হবে।” পানীয় জলের কল আরও বাড়ানোর বিষয়েও ভাবনাচিন্তা হয়েছে বলে জানান তিনি। মাত্রাতিরিক্ত ছাত্রছাত্রীর জন্যই অনেক সময়ই যথেষ্ট পরিষেবা দিতে কলেজ কর্তৃপক্ষের অসুবিধা হয় বলেও জানান নন্দিতা। তবে সমস্যা সত্ত্বেও সামগ্রিক ভাবে মালবাজার কলেজের মান আশা ব্যাঞ্জক বলেই দাবি করেছেন তিনি। বিধাননগর পঞ্চায়েত এলাকায় গড়ে ওঠা কলেজে যে সমস্যা রয়েছে তা মেনেছেন জেলা পরিষদ সদস্য শংকর ওঁরাও। তিনি বলেন, “কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত জানালে জেলা পরিষদে আলোচনা করে সাহায্যের বিষয়টি দেখা হবে।” |
|
|
|
|
|