শিলিগুড়িতে নানা অভিযোগে স্কুলে বিক্ষোভ
স্কুলের ফি নেওয়া হলেও একাংশ ছাত্রীদের রসিদ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সরকারি নিয়মে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশফেল প্রথা নেই। অথচ ৫০ শতাংশ ছাত্রীকে ফেল করানো হয়েছে। অভিযোগ, স্কুলের নতুন ভবন তৈরির জন্য একটি পুরনো বিল্ডিং ভেঙে ফেলা হয়েছে। সে কারণে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না বিভিন্ন শ্রেণির। এই সমস্ত একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রী, অভিভাবকেরা। বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েদের শিলিগুড়ি হিন্দি হাই স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। তার জেরে এ দিন কোনও ক্লাস হয়নি। ফেল করা ছাত্রীদের পাশ করানোর দাবিতে ছাত্রী অভিভাবকেরা স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিভাবক মঞ্চের প্রতিনিধিরাও যান। বিক্ষোভের জেরে দফতরে আটকে পড়েন প্রধান শিক্ষিকা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশকে যেতে হয়। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ফেল করা ছাত্রীদের সকলকে পাশ করানো এবং দ্রুত ফি জমা দেওয়ার রসিদ দেওয়া হবে জানানো হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচন নিয়ে গোলমালের জেরে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অরিন্দম রায়কে ওই স্কুলে প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়েছিল। যদিও নতুন নিয়মে স্কুলগুলিতে সরকারি প্রতিনিধিরাই পরিচালন কমিটি গড়বেন। তা না হওয়ায় এখনও প্রশাসক হিসাবে অরিন্দমবাবু দায়িত্বে রয়েছেন। এ দিনের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ পৌঁছয় মহকুমাশাসকের কাছেও। প্রধান শিক্ষিকা মিথিলেশ কুমারী শর্মাকে নিয়ে মহকুমাশাসকের দফতরেও দেখা করেন অরিন্দমবাবু। অরিন্দমবাবু বলেন, ‘‘অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত ছাত্রীকেই পাশ করাতে হবে। তবে নবম শ্রেণিতে যারা পড়েন তারা ন্যুনতম ২৫ শতাংশ পেলে পাশ করবে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অভিভাবকেরা দাবি করেছেন ১৭ শতাংশ পেলেই যাতে তা বিবেচনা করে পাশ করানো হয়। সমস্যা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগামী ৬ জানুয়ারি কথা বলবেন স্কুল পরিদর্শক। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।” স্কুল সূত্রে জানানো হয়েছে, ফি জমা দিয়েও যারা রসিদ পাননি আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যে তাদের তা দিয়ে দেওয়া হবে। নবম শ্রেণি থেকে দশম স্রেণিতে ওঠার ক্ষেত্রে যারা পাশ করেননি তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামী ৮ জানুয়ারি জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রধান শিক্ষিকার দাবি, ছাত্রীদের বছরে যে ফি দিতে হয় তা জমা দিতে ৫ বার নোটিশ দেওয়া হয়। তার মধ্যে অনেকেই দিয়ে দেয়। তারা রসিদও পেয়েছে। যারা ওই সময়ের মধ্যে দেননি ২৩ ডিসেম্বর রেজাল্ট তারা পাবে না বলে জানানো হয়। তাতে ওই দিন অনেকে ফি নিয়ে আসে। কিন্তু কর্মীর অভাবে ওই দিন ব্যস্ততার মধ্যে তাদের রসিদ দেওয়া সম্ভব হবে না জানানো হয়। জানুয়ারির মাসের মধ্যে রসিদ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কল্যাণ রায়, সাইরুল খাতুন, সঞ্জুদেবী দাসদের অভিযোগ, এ দিনও তাদের অনেকে মেয়েদের ফি জমা দিয়েছেন। অথচ রসিদ দেওয়া হয়নি। পুরনো ভবন ভেঙে ফেলায় সপ্তাহে এক দুই দিন ক্লাস হচ্ছে মাত্র। তাতে ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পে ফর্ম দেওয়ার সময় ১৩০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক সন্দীপন ভট্টাচার্য বলেন, “রসিদ ছাড়া টাকা নেওয়া অন্যায়। ওই টাকা কোথায় জমা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। তা ছাড়া কম্পিউটারের জন্য ৪৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পে ফর্ম নিখরচায় মেলার কথা। সরকারি নিয়মে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশফেল নেই। স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করাতে হবে।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.