নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে
ত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্পাসে থাকা আউট পোস্টে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। ৩ জন সাব ইন্সপেক্টর, ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর এবং ১২ জন কনস্টেবল রয়েছেন। ক্যাম্পাসের ঝুটঝামেলা ছানাও গোটা পঞ্চায়েত এলাকার নজরদারি করতে হচ্ছে তাদের। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিকাঠামো উন্নয়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের তরফে। কিন্তু সেই কাজ এখনও না-হওয়ায় উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এবং বিস্তীর্ণ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার স্বার্থে ওই আউট পোস্টের পরিকাঠামো দ্রুত বাড়ানো প্রয়োজন বলে তাঁরা জানিয়েছেন। জুনিয়র চিকিত্‌সকরাও নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পের পরিকাঠামো বাড়ানোর দাবি বারবার জানান।
হাসপাতালের সুপার অমরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসের আউট পোস্টের পরিকাঠামো বাড়ানো প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে সে ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল বলে শুনেছি। সম্প্রতি আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি কতদূর এগিয়েছে তা খোঁজ নেব।”
হাসপাতালে ওয়ার্ডের মধ্যেই একজন চিকিত্‌সকের গায়ে রোগীর লোকজন হাত তোলার অভিযোগ ঘিরে গোলমাল বাধে। গত নভেম্বর মাসে সে কারণেই নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিতে ক্যাম্পাসের আউট পোস্টের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবি জানায় জুনিয়র চিকিত্‌সকরা। তাদের সঙ্গে তত্‌কালীন পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বৈঠক করে দ্রুত আউট পোস্টের উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার আশ্বাস দেন। এসজেডিএ কাণ্ডে মালদহের জেলাশাসককে গ্রেফতারের ঘটনার পর তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও জি পাল বলেন, “ওই আউট পোস্টের পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপারে বেশ কিছু প্রস্তাব ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। দু’টি গাড়ির ব্যবস্থা করা, কর্মী সংখ্যা বাড়ানো, নিজস্ব ভবন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ও অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু হবে।”
নিরাপত্তা-সহ বেশ কিছু কারণে ওই আউট পোস্টের পরিকাঠামো বাড়ানোর দাবি তুলেছেন কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে পুলিশে খবর দিতে হয়। মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস মাটিগাড়া থানার অধীনে রয়েছে। থানা থেকে পুলিশ পৌঁছলে তবে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। সে ক্ষেত্রে মাটিগাড়া থানায় খবর দেওয়া, সেখান থেকে পুলিশ আসতে অনেক ক্ষেত্রেই ৫-৬ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। তা নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর পরিবারের লোকদের সঙ্গে স্বাস্থ্য কর্মীদের গোলমাল বাঁধছে। ক্যাম্পাসের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কাজ করা গেলে মৃতের লোকজন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনেক সমস্যা মিটত। তা ছাড়া ক্যাম্পাসে দালাল চক্র, নেশার ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে রোগীর আত্মীয়দের সর্বস্ব কেড়ে নিতে দুষ্কৃতীরা সক্রিয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউট পোস্ট সূত্রেই জানা গিয়েছে, বর্তমানে সেখানে ৩ জন সাব ইন্সপেক্টর, ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর এবং ১২ জন কনস্টেবল রয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে পুলিশের তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমিও চাওয়া হয়েছে। সেখানে ফাঁড়ির নিজস্ব ভবন গড়তে চান তারা। বর্তমানে হস্টেল সুপারের কোয়ার্টারেই চলছে ক্যাম্পাসের আউট পোস্ট।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.