|
|
|
|
দলীয় নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ, আন্দোলনে কেপিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিল কামতাপুর পিপলস পার্টি (কেপিপি)। আগামী ১০ জানুয়ারি জেলাশাসকের মাধ্যমে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি পাঠাবেন দলীয় নেতৃত্ব। বুধবার রাতে ধুপগুড়ির ডাউকিমারি গ্রামে কেপিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক নিখিল রায় বলেন, “মিথ্যা অভিযোগে শীর্ষ নেতাদের জেলে ঢুকিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভাঙার ষড়যন্ত্র চলছে। ঘটনার প্রতিবাদে ১০ জানুয়ারি থেকে গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন শুরু হবে।”
কেপিপির অভিযোগ, বামফ্রন্টের সময় যেভাবে পুলিশ দিয়ে কেপিপির আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা হয়েছে, তৃণমূল সরকারও একই পথে হাঁটতে শুরু করেছে। কেএলও জঙ্গিদের সঙ্গে নাম জড়িয়ে নেতা ও কর্মীদের ধরে জেলে পাঠানো হচ্ছে। সভার এমন কি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। নিখিলবাবু’র দাবি, “আমাদের দল সন্ত্রাস বিরোধী। দলের তরফে মালদহে বাসে গুলি চালনা এবং জলপাইগুড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনার ধিক্কার জানিয়েছেন শান্তি শৃঙ্খলার কথা ভেবে আমরা বিভাগীয় কমিশনারের দফতর ঘেরাও কর্মসূচি বাতিল করেছি। তার পরেও ওই দুটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার মিথ্যা অভিযোগ তুলে সুভাষ বর্মন এবং নুবাস বর্মনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” |
উত্তরবঙ্গে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে তৃণমূলের শান্তি মিছিল। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে। —নিজস্ব চিত্র। |
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা জানান, ৭ জানুয়ারি কেপিপির প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতি বছর ওই দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবার অনুষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন টালবাহানা শুরু করেছে। কেএলও জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দলের সাধারণ কর্মীদের থানায় ডেকে হয়রানি করা হচ্ছে। বুধবারের সভায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আশঙ্কা প্রকাশ করেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে হয়রানি ক্রমশ বাড়বে।
দলের সাধারণ সম্পাদক জানান, সভা, সমিতি, আন্দোলন করা গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে সরকারে বসার পড়ে তৃণমূল নেতারা সেটা ভুলে গিয়েছেন না হলে তাঁদের সরকারের পুলিশ ও প্রশাসন আমাদের সব বিষয়ে এত বাঁধার সৃষ্টি করবে কেন! আমরা তো গোপনে কিছু করছি না সব কিছুই প্রকাশ্যে করা হয় তবু কেন আমাদের নাম জঙ্গিদের সঙ্গে জড়ান হবে
এ দিকে, কেএলও জঙ্গিদের সঙ্গে সিপিএমের একাংশের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, “জলপাইগুড়িতে কেএলওদের মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সিপিএম নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে। যথাসময়ে সব তথ্য যথাস্থানে জানানো হবে।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল-এর সঙ্গে কেএলও-এর যোগসাজশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “প্রাণেশ পাল সহ একাধিক সিপিএম নেতাকে হত্যা করেছে কেএলওরা। ক্ষমতায় এসে ঘাতক জঙ্গিদের রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে ছেড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মুক্তি পাওয়া কেএলওরা ফের সংগঠিত হয়ে নাশকতামূলক কাজ করছে। এ থেকে স্পষ্ট কারা কেএলওদের মদত দিচ্ছে। তৃণমূলের অভিযোগ কেউ বিশ্বাস করবে না।” বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ জুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টির প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে মিছিল করে তৃণমূল। আজ, শুক্রবার বিকালে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবের কর্মী সম্মেলন রয়েছে। |
পুরনো খবর: কেএলও-কে রুখতে রাশ কেপিপি-র নানান কর্মসূচিতে |
|
|
|
|
|