|
|
|
|
বোমা নিষ্ক্রিয় করার প্রশিক্ষণ দিল সিআইডি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
আইইডি কী? জঙ্গিরা কোথায় কি অবস্থায় বিস্ফোরক রাখতে পারে? কোথাও ব্যাগ, রেডিও, মোবাইল ফোন পড়ে থাকতে দেখলে কি করবেন?— কোন জনসচেতনতা শিবিরের আলোচনায় উঠে আসা প্রশ্নমালা নয়, প্রজেক্টরের মাধ্যমে পর্দায় ছবি ফেলে ওই ধরণের আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন থানার আইসি, ওসি এবং সাব ইন্সপেক্টরদের বিস্ফোরণে হতাহত এড়ানোর পথ বাতলে দিলেন সিআইডি-র ‘বম্ব ডিটেকশন অ্যান্ড ডিসপোজাল স্কোয়াডের’ ছয়জন বিশেষজ্ঞ।
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি পুলিশ লাইনের কনফারেন্স রুমে রীতিমত স্কুল-কলেজের ক্লাসের ছাত্রদের মতো আইসি, ওসি এবং সাব-ইন্সপেক্টরা দেখলেন, শুনলেন বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য থেকে বুঝে নিলেন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নানা উপায়। জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে ব্যাগ বোমা বিস্ফোরণ ও উদ্ধারের ঘটনা বেড়েছে। কেএলও জঙ্গিরা অসমের বড়ো জঙ্গিদের মত কৌশল পাল্টে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টির পথে হাঁটছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ কর্তা ও কর্মীদের এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেমস কুজুর বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পুলিশ কর্মীদের সচেতন করার জন্য ওই শিবিরের আয়োজন।” এক পুলিশ কর্তা জানান, কোথাও পরিত্যক্ত ব্যাগ, কৌটা পাওয়া গেলে স্থানীয় পুলিশ কর্তাদের ব্যবস্থা নিতে হয়। অনেকে সাহস দেখিয়ে দেখামাত্র সেগুলি তুলে বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এর আগে নির্দিষ্ট পোশাক ব্যবহার না করায় আলিপুরদুয়ারে সাইকেল বোমা নিস্ক্রিয় করতে গিয়ে এক পুলিশ কর্মী মারা যান। কয়েকদিন আগে জলপাইগুড়ির বজরাপাড়ায় বিস্ফোরণে ছয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
সিআইডির বোমা বিশেষজ্ঞ দীপঙ্কর বিশ্বাস এবং অমিত বসু এদিন পুলিশ অফিসারদের সতর্ক করে দেন, কোথাও পরিত্যক্ত অবস্থায় কিছু পাওয়া গেলে, তাঁরা যেন ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা না করেন। বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা আসা অবধি অপেক্ষা করেন। |
|
|
|
|
|