ফের পিছিয়ে গেল খোরজুনা ধর্ষণ কাণ্ডের সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব। বৃহস্পতিবার কান্দি মহকুমা আদালতের জেলা জজ আদালতের ফার্স্ট ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারপ্রতি চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে দ্বিতীয় পর্যায়ের সাক্ষ্য গ্রহণ ছিল। অভিযুক্ত প্রকাশ দাসের আইনজাবী সফিউর রহমান মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ অন্য জেলার আদালতে করার জন্য উচ্চ আদালতে আবেদনের নথি বিচারকের কাছে দেন এবং এ জন্য আরও দু’মাস সময় চান। কিন্তু সরকার পক্ষের আইনজীবী এর বিরোধিতা করেন। অবশেষে বিচারক দু’মাসের পরিবর্তে আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ফের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। গত ১৬ ডিসেম্বর ওই মামলার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। কিন্তু সেই সময় প্রকাশের আইনজীবী জানান, কান্দি আদালতে বিচার চলাকালীন মৃতার বাড়ির লোকজন আদালত চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করায় সাক্ষ্য গ্রহণে অসুবিধা হচ্ছে। তিনি অন্য জেলার আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদনের কাথা জানান। বিচারক সে সময় ওই আইনজীবীকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন। কিন্তু এ দিনও সফিউর ওই নথি দেখাতে পারেননি। আইনজীবি সফিউর বলেন, “আদালত ছুটি থাকায় কাজ হয়নি।” সরকারি আইনজীবী সুনীল চক্রবর্তী বলেন, “বিরোধিতা করায় বিচারক দু’মাসের পরিবর্তে ২০ জানুয়ারি ফের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন দিয়েছেন। ২০১৩ সালের জুন মাসে বড়ঞার খোরজুনার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে প্রকাশ দাস নামে এক পড়শিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব বারবার ধাক্কা খাওয়ায় ওই মহিলার পরিবারের সাথে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁদের অভিযোগ, দোষীকে আড়াল করতেই বারবার পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন। |