২৮ জানুয়ারি নদিয়ার ১৮ টি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল জেলা প্রশাসন। এ বার শুধু নির্বাচনের দিনই নয়, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমা দেওয়া-সহ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিনগুলিতেও কলেজ কতৃপক্ষ চাইলে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলাশাসক পি বি সালিম বলেন, “কলেজ নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে আমরা কোনওরকম শিথিলতাকে প্রশ্রয় দেব না। নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন যাতে কলেজগুলিতে অশান্তি না হয় তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনের দিন ছাড়াও অন্য দিনেও শৃঙ্খলার প্রশ্নে অধ্যক্ষরা চাইলে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে।”
সোমবার জেলার সমস্ত কলেজ কতৃপক্ষ, ছাত্র সংগঠন ও পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক। ওই বৈঠকেই ঠিক হয় ২৮ জানুয়ারি জেলার কলেজগুলিতে নির্বাচন হবে। স্বাভাবিক ভাবেই সেই বৈঠকে নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব আসে অধ্যক্ষদের তরফেও। সেখানেই ১৪৪ ধারা জারি করার বিষয়টি ঠিক হয়।
কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল কলেজের অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলি বলেন, “প্রশাসনকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা চাই অশান্তি ছাড়াই যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয়। প্রয়োজনে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন ১৪৪ ধারা জারির কথা বলব।” |
• আমরাও চাই নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন হোক। প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে আমরা সহযোগিতা করব। ছাত্রছাত্রীরাও আমাদের সঙ্গেই আছে।
অয়ন দত্ত,
টিএমসিপি’র জেলা সভাপতি |
• আমরা চাই প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা। আমরা দাবি করেছি স্থানীয় থানা ও বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে।
কৌশিক দত্ত,
এসএফআই জেলা সভাপতি |
• গতবার যেখানে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছিলাম সেখানে জিতেছি। নিরাপত্তা ঠিক থাকলে আমরা গতবারের মতই ফল করব।
দিব্যেন্দু বসু,
ছাত্র পরিষদ জেলা সহ সভাপতি |
|
|
গত বারের মতো এবারও কলেজগুলিতে সিসিটিভি বসানোর পাশাপাশি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মনোনয়ন পত্র দেওয়া হবে। এসএফআই এর জেলা কমিটির সভাপতি কৌশিক দত্ত বলেন, “আমরা চাই প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা। আমরা দাবি করেছি স্থানীয় থানা ও বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে। কারণ টিএমসিপি গতবারের মতো এবারও আমাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেবে। পাশাপাশি, নির্বাচনের দিন বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশনে পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ওরা আমাদের ছেলেদের নামিয়ে নিতে না পারে।”
ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির সহ সভাপতি দিব্যেন্দু বসু বলেন, “এর আগের বছরে বেশিরভাগ কলেজেই আমাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি। তবে যেখানে যেখানে আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছিলাম সেখানে আমরা জিতেছি। যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ভোট হলে আমরা গতবারের মতই ফল করব।” যদিও টিএমসিপি’র জেলা সভাপতি অয়ন দত্ত বলেন, “নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন হোক। কারণ ছাত্রছাত্রীরা আমাদের সঙ্গেই আছে।”
গত বছর রাজ্য সরকারের নির্দেশে কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। এক বছর বাদ দিয়ে এবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন। নিজেদের শক্তি প্রমাণ করতে মরিয়া সব ছাত্র সংগঠনগুলোই। আর এই পরিস্থিতিতে যাতে কোনওরকম অশান্তি না হয় সে জন্য প্রথম থেকেই সতর্ক থাকছে জেলা প্রশাসনও।থকেই সতর্ক থাকছে জেলা প্রশাসনও। |