|
|
|
|
শিলচরে ট্রেনের কামরা দখল করছে জিআরপি, অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর
২ জানুয়ারি |
শিলচর-লামডিং পাহাড় লাইনে দু’জোড়া যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল করে। অভিযোগ, কাগজে-কলমে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অধীনে থাকলেও, ট্রেনের যাত্রী পরিষেবা ‘নিয়ন্ত্রণ’ করে রেল পুলিশের একাংশ।
যাত্রীদের অভিযোগ, শিলচর স্টেশনে লামডিং-মুখী ট্রেনগুলি ওই পুলিশকর্মীদের ‘দখলে’ চলে যায়। ডক-লাইনে থাকার সময় আইন ভেঙে যাত্রী তুলতে শুরু করে রেল পুলিশ। ট্রেনের সামনে এবং পিছনের দিকের দু’টি সাধারণ কামরা ‘জিআরপি-র জন্য সংরক্ষিত’ বলে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। অন্য কামরাগুলোতে প্রচণ্ড ভিড়ে নাজেহাল হতে হয় যাত্রীদের। ওই দু’টি কামরায় ‘দক্ষিণা’ নিয়ে যাত্রীদের ওঠার অনুমতি মেলে। অভিযোগ, বৈধ টিকিট থাকলেও, রেল পুলিশের ওই কর্মীদের আলাদা টাকা দিতে হয়। রেলের আঞ্চলিক ম্যানেজার এন হরিকুমার জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁর কাছেও অভিযোগ গিয়েছে। সম্প্রতি, ওই ট্রেনে অভিযান চালায় রেল কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে কয়েকটি মদের বোতল বাজেয়াপ্ত করা হয়। যাত্রিবাহী ট্রেনের ওই কামরা থেকে নামানো হয় পণ্যের বস্তাও। টিকিটও পরীক্ষা করেন রেলকর্তারা। হরিকুমারের কথায়, “জিআরপি-র জন্য কোনও কামরা বরাদ্দ থাকে না। তাঁরা এ ভাবে যাত্রীও তুলতে পারেন না। এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
স্থানীয় জিআরপি থানার ওসি অজিত সূত্রধর অবশ্য যাত্রী হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর কথায়, “আঞ্চলিক ম্যানেজার দক্ষিণের রাজ্য থেকে এসেছেন। তিনি মাস দেড়েক আগে এখানে নিযুক্ত হন। পাহাড় লাইনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা তা-ই এখনও বুঝতে পারেননি।” তাঁর বক্তব্য, কাছাড় এক্সপ্রেস এবং বরাক এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন-লাগোয়া কামরায় রেল পুলিশের জন্য ছ’টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু, তাঁরা এক জায়গায় বসে থাকতে পারেন না। ট্রেন থামলে তাঁদের নেমে গিয়ে সামনে-পিছনে নজরদারি করতে হয়। ওই দু’টি কামরায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ না-রাখলে তাঁদেরও ওঠার জায়গা মিলবে না।
টাকা নিয়ে যাত্রী তোলার অভিযোগও মানতে চাননি ওই জিআরপি অফিসার। তাঁর কথায়, “যাত্রীবাহী ট্রেনে পণ্য পরিবহণ বা বিনা টিকিটের যাত্রী ধরার দায়িত্ব পুলিশের নয়, রেলের। তাঁরা নিজের কাজ ঠিকঠাক না-করে রেল পুলিশকে দোষারোপ করছেন।”
আঞ্চলিক ম্যানেজারের কথায়, ‘‘রেল পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছি, কোন কামরায় তাঁদের ক’টি আসন প্রয়োজন। ছ’টি আসন তাঁরা যে ভাবে চাইবেন,সে ভাবেই দেওয়া হবে। কিন্তু দু’টি কামরায় তাঁদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।” |
|
|
|
|
|