নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
একশো দিন প্রকল্পে সরকার নির্ধারিত পরিমাপ অনুযায়ী কাজ করেও প্রাপ্য মজুরি মেলেনি। বার বার পঞ্চায়েত প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনও সুরাহা হয়নি। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার সাঁইথিয়ার বিডিওকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন মজুরদের একাংশ। বিডিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর একশো দিন কাজের প্রকল্পে স্থানীয় আমোদপুর পঞ্চায়তের ভগবতীপুর গ্রাম এলাকায় সেচ খাল কাটার জন্য ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ২১৬ টাকা বরাদ্দ হয়। ওই প্রকল্পে কাজ করেন শতাধিক মজুর। তাঁদের নিজ নিজ পাসবইয়ে মজুরির টাকার পরিমান দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযোগ, ৬ দিন করে কাজ করিয়ে মজুরি বাবদ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী, একশো দিন কাজের প্রকল্পে ৫ ফুট নীচে থেকে নরম মাটি কেটে ৮০ ফুট দুরত্বে ৬৯ ঘনফুট মাটি ফেলা হলেই, এক কর্মদিবস ধরা হয়। মিশ্রিত মাটির ক্ষেত্রে ওই পরিমাপ কমে দাঁড়ায় ৬২ ঘন ফুটে। পাথুরে মাটির ক্ষেত্রে ওই পরিমাপ আরও কম। এক কর্মদিবসের জন্য মজুরেরা ১৫১ টাকা বেতন পান। এই প্রকল্পে কাজ করা শঙ্কর বাগদি, নিমাই ঘোষরা দাবি করেন, “আমরা ৬ দিন ধরে পর্যাপ্ত পরিমান মাটি কেটেছি। কিন্তু পঞ্চায়েত আধিকারিকেরা আমাদের অবর্তমানে পরিমাপ করে মর্জি মাফিক বেতন দিয়েছে।” শুধু ওই প্রকল্পে নয়, ইতিপূর্বে একই ভাবে তাঁদের কম বেতন দেওয়া হয়েছে এবং তা পঞ্চায়েত প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনও লাভ হইনি অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট আমোদপুর পঞ্চায়েত প্রধান, তৃণমূলের কৃষ্ণা ভট্টাচার্য বলেন, “মজুরদের মধ্যে প্রচলিত ধারণাই রয়েছে, একশো দিন কাজের প্রকল্পে যোগ দিলেই এক শ্রমদিবসের মজুরি মেলে। মাটি কাটার পরিমাপ অনুযায়ী যে মজুরি নির্ধারিত হয়, তা অধিকাংশেরই অজানা।” তাঁর দাবি, “এক্ষেত্রেও মজুরদের উপস্থিতিতেই মাটি কাটার পরিমাপ করে তাঁদের প্রাপ্য বেতন দেওয়া হয়েছে।” বিডিও মহম্মদ জাহিদসাউদ বলেন, “তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |