নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
অবিলম্বেই রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে জানালেন রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার এবং গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে ৩২তম বীরভূম জেলা বইমেলা উদ্বোধন করতে এসে তিনি বলেন, “বীরভূম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গ্রন্থাগারগুলিতে শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের জন্য অর্থ দফতরের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। অনুমোদন মেলার পরেই নিয়োগ শুরু হবে।” একই সঙ্গে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিতে মেয়েদের মধ্যে লেখাপড়ার হার বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। অবিলম্বেই সেখানে শুধু মাত্র মেয়েদের জন্য গ্রন্থাগার খোলা হবে। মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের যে ক’টি জেলায় মেয়েরা এখনও পিছিয়ে আছেন, সেখানে কেবল মাত্র মেয়েদের জন্য মহিলা পরিচালিত গ্রন্থাগার গড়ে তোলা হবে। এতে মেয়েদের মধ্যে গ্রন্থাগারে এসে বই পড়ার আগ্রহ বাড়বে।” |
উদ্বোধনের আগে এ দিন সকালে রামপুরহাট শহর জুড়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী এবং ক্লাব সদস্যেরা একটি মিছিল করেন। পরে মন্ত্রী বইমেলার উদ্বোধন করেন। পরে তিনি বললেন, “বীরভূম রাজ্যের পিছিয়ে পড়া জেলার অন্যতম। এমন একটি জেলার উন্নয়নমূলক কাজের অংশীদার হওয়ার জন্যই বইমেলা উদ্বোধন করার ডাক পেয়ে চলে এসেছি।” তিনি আরও বলেন, “বইয়ের প্রতি পাঠকদের আকর্ষণ বাড়াতে এবং ভাল বই পড়ার আগ্রহ বাড়ানো বই মেলার উদ্দেশ্য। সেই বইমেলাকে আরও বেশি করে জনমুখী করার প্রয়োজন আছে। ক্ষুদ্র প্রকাশকদেরও বইমেলায় গুরুত্ব দিতে হবে।” উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকেরাও। নিজের বক্তৃ তায় উপাচার্য পরামর্শ দেন, “শিশুদের চারিত্রিক এবং মানসিক উন্নতির জন্য ভাল মানের বই তাদের হাতে তুলে দিতে হবে।”
এ দিকে, উদ্বোধনের দিনও দেখা যায় বইমেলায় এখনও প্রকাশকেরা সব স্টল সাজাতে পারেনি। কিছু কিছু স্টলে বিকেল পর্যন্তও কাজ চলতে দেখা গিয়েছে। আবার আনন্দ পাবলিশার্সের মতো কয়েকটি বড় প্রকাশনা সংস্থার স্টলে দেখা যায় বইপ্রেমী মানুষের ভিড়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় লেখকদের চারটি বই প্রকাশিত হয়েছে। উদোক্তাদের তরফে একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করা হয়। |