ছাত্রভর্তি নিয়ে গোলমাল, শিক্ষিকাদের ঘরে তালা

প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষিকাদের একাংশের মতবিরোধের জেরে ভর্তিতে ব্যাঘাত ঘটছে, এই অভিযোগে ঝামেলা বাধল স্কুলে। স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকাদের তালাবন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠল কিছু বহিরাগতের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার বর্ধমানে বুদবুদের রণডিহায় এই ঘটনার পরে আতঙ্কে চাকতেঁতুল রামকৃষ্ণ হাইস্কুলের ওই শিক্ষিকারা। তাঁদের অভিযোগ, দু’দফায় ৪০ মিনিট তালাবন্ধ থাকার সময়ে বহিরাগত লোকজন তাঁদের ক্রমাগত হুমকি ও গালি দেয়। প্রধান শিক্ষক অবশ্য পুলিশে খবর দেননি। আতঙ্কিত শিক্ষিকারাও পুলিশে অভিযোগ জানাতে চাননি।
ঘটনার সূত্রপাত এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ। স্কুল সূত্রে জানা যায়, ২-৪ জানুয়ারি নতুন রেজিস্টারে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নাম তোলা ও ফি জমা নেওয়ার কথা ছিল। সে জন্য অভিভাবকেরা পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুলে আসেন। শিক্ষিকাদের অভিযোগ, এই কাজ তাঁদের করতে হবে, এমন নোটিস আগে দেওয়া হয়নি। এমনকী, সকালে প্রধান শিক্ষক শ্রবণ দাসের ঘরে হাজিরা খাতায় সই করার সময়েও তিনি কিছু জানাননি। পরে এক শিক্ষাকর্মী এ ব্যাপারে একটি নোটিস নিয়ে শিক্ষিকাদের বসার ঘরে হাজির হন। কিন্তু শিক্ষিকারা সই করতে রাজি হননি। জানিয়ে দেন, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করতে চান তাঁরা।
এর পরেই গোলমাল শুরু হয়। শিক্ষিকাদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষককে তাঁদের ঘরে এসে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানালে তিনি রাজি হননি। এরই মধ্যে কিছু অভিভাবক শিক্ষিকাদের কাছে এসে কাজ শুরুর আবেদন করতে থাকেন। শিক্ষিকারা অভিযোগ করেন, কথাবার্তা চলাকালীনই হুড়মুড় করে স্কুলে ঢুকে পড়ে স্থানীয় কিছু যুবক। তারাই তাঁদের বসার ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। আধঘণ্টা পরে এক বার তালা খুলে কাজ শুরুর জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষিকারা আগে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করতে চান জানালে, ফের তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। আরও মিনিট দশেক বন্ধ থাকার পরে খোলা হয়। প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষিকাদের সঙ্গে এ দিন আলোচনায় বসেননি।
দীর্ঘক্ষণ শিক্ষিকাদের তালা দিয়ে রাখা সত্ত্বেও তিনি কেন ব্যবস্থা নিলেন না, সে প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক শ্রবণবাবুর দাবি, নিজের ঘরে থাকায় তিনি বিষয়টি জানতে পারেননি। জানার পরে তালা খোলার ব্যবস্থা করেন। তবে বহিরাগতেরা স্কুলে ঢুকে তালা ঝুলিয়েছে, তিনি মানতে চাননি। তাঁর অভিযোগ, “শিক্ষিকাদের একাংশ স্কুলের কাজে সহযোগিতা করেন না। তাতে ক্ষুব্ধ কিছু ছাত্রছাত্রীই এ কাজ করেছে।” কিন্তু তিনি কেন পুলিশে খবর দেননি, প্রধান শিক্ষকের কাছে তার সদুত্তর মেলেনি। স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষিকাদের আটকে রাখা মোটেই ভাল হয়নি।” তবে কিছু শিক্ষিকার আচরণেও স্থানীয় মানুষ বিরক্ত বলে তাঁর দাবি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.