জলপাইগুড়ির বজরাপাড়ায় বিস্ফোরণে আরও এক জন গ্রেফতার হল। তবে বজরাপাড়ায় নববর্ষের দিনও বিষাদ কাটেনি। বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণে এই এলাকারই ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে শিলিগুড়ি লাগোয়া ভক্তিনগরের ভবেশ মোড় এলাকা থেকে দীপক রায় নামে ওই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, ওই যুবক প্রতিবেশী একটি দেশে কেএলও-র শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কেএলও-র একাধিক প্রথম সারির জঙ্গির সঙ্গে দীপকের যোগাযোগ ছিল বলে পুলিশের সন্দেহ। দীপকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলাও রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির কিছু ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে টাকা তুলে দীপক কেএলও-র প্রথম সারির নেতাদের কাছে পাঠাত। দীপকের অবশ্য দাবি, “আমি কেএলও-র সঙ্গে জড়িত নই।”
জলপাইগুড়িতে বিস্ফোরণের পরে ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে মূল ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও ধরা পড়েনি বলে পুলিশ সূত্রের খবর। রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সকলকে ধরার চেষ্টা চলছে। উত্তরবঙ্গের ছয় জেলায় কেএলও-র প্রশিক্ষিত সদস্য ও তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করতেও তল্লাশি চলছে।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “ধৃত যুবক এক জন প্রশিক্ষিত কেএলও জঙ্গি বলে জানা গিয়েছে। ধৃতের সঙ্গে দুই শীর্ষ কেএলও নেতার যোগাযোগ ছিল। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে টাকা তুলে সে কেএলও নেতাদের কাছে পৌঁছে দিত। জলপাইগুড়ি বিস্ফোরণে সে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” যদিও দীপকের পরিবারের দাবি, তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে ধরা হয়েছে। দীপককে শিলিগুড়ি আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার অনুমতি দিয়েছেন বিচারক।
বজরাপাড়ায় বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে ওই পরিবারগুলির কাছে ক্ষতিপূরণ কী ভাবে মিলবে, তা জানানো হয়নি। এমনকী, স্থানীয় তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ বসাক বলেন, “কিছুই বুঝতে পারছি না। প্রশাসনের কেউ তো এলাকায় এসে ওই পরিবারগুলির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেনি।”
|