ঘর পেলেন অনেকে। তবে এখনও অনেকে বেঘর।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছিল মুজফ্ফরনগরের লোই ত্রাণ শিবিরে। কখনও শীতে একের পর এক শিশুর মৃত্যু, আবার কখনও ত্রাণ শিবির থেকে আশ্রিতদের উৎখাতের অভিযোগ। সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিতেই পড়ে গিয়েছিল অখিলেশ সরকার। তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নিজের উদ্যোগে ওই এলাকায় একের পর এক উৎসব নিয়ে সমালোচনায় সরব হয় বিভিন্ন মহল। এই অবস্থায় একটি শিবির থেকে এক সঙ্গে ৪২০ জনকে তড়িঘড়ি নতুন ঘরে পাঠিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার সেই সব অভিযোগ থেকে নজর ঘোরানোর মরিয়া চেষ্টা চালাল বলেই মনে করছেন অনেকে। এখনও ওই শিবিরটিতে ৬৩ জন রয়ে গিয়েছেন। তাঁদেরও যত দ্রুত সম্ভব নতুন ঘরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক কুশল রাজ শর্মা। তাঁদের জন্য কোথায় এবং কী ধরনের ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সে ব্যাপারে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদিও একাধিক সংস্থার অভিযোগ, ঘরছাড়াদের জন্য যে আবাস সরকার বানিয়েছে, তা কার্যত বসবাসের অযোগ্য।
ত্রাণ শিবিরে পর পর মৃত্যুর অভিযোগ উঠতে শুরু করার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে এই বিষয়ে বিশদে জানতে চায়। তার পরই একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে রাজ্য। ওই কমিটির রিপোর্ট বলছে, প্রচণ্ড শীতের ফলে লোই শিবিরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৪টি শিশুর। প্রত্যেকেরই বয়স ১২ বছরের নীচে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ বছর যে রকম ঠান্ডা পড়েছে তাতে কারও মৃত্যু হতে পারে না বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রিন্সিপ্যাল সচিব (স্বরাষ্ট্র) এ কে গুপ্ত। তাঁর দাবি ছিল, ওই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে নিউমোনিয়ায়, ঠান্ডায় নয়।
শুধু গোষ্ঠী সংঘর্ষে ঘর ছাড়াদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেই ক্ষান্ত হয়নি রাজ্য সরকার। পাশাপাশি এ দিন মুলায়ম সিংহ যাদব কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবকে। প্রসঙ্গত, রাহুল গাঁধী লোই শিবির পরির্শন করে যাওয়ার কয়েক দিন পরই ওই শিবিরে এসেছিলেন লালু। মূলত সেই ঘটনাকেই কটাক্ষ করেন মুলায়ম।
তাঁর আরও দাবি, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের নানা রাজ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব হয়েছে। কিন্তু অন্য কোনও রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে এ ভাবে দাঁড়ায়নি। |