|
|
|
|
রক্ষীর অভাবে পালাচ্ছে করিমগঞ্জ জেলের বন্দিরা
নিজস্ব প্রতিনিধি • শিলচর
৩১ ডিসেম্বর |
ফের কারারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালালো এক বন্দি। তিন মাসের মধ্যে এ নিয়ে পরপর পাঁচবার একই ঘটনা ঘটল করিমগঞ্জ জেলে। পলাতকদের মধ্যে একজন পরে পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল।
জেল সূত্রের খবর, দু’দিন আগে জেল থেকে পালায় জয়নালউদ্দিন নামে এক বন্দি। ধর্ষণের দায়ে তার সাত বছর কারাদণ্ড হয়েছিল। জেলকর্তার আবাসনে কাজ করার জন্য তাকে মোতায়েন করা হয়। বন্দি পালানোর বিষয়ে পুলিশের কাছে মামলা রুজু করেছেন জেলকর্তা রঞ্জিৎ গগৈ। তবে, এখনও খোঁজ মেলেনি জয়নালউদ্দিনের। আগে পলাতক পাঁচজন বন্দিরও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
করিমগঞ্জ জেল থেকে বন্দি পালানোর পরম্পরা শুরু হয় অক্টোবরে। জেলাশাসকের আবাসনে কাজে নিযুক্ত এক অপরাধী পালায়। পরে, তার হদিশ পায় পুলিশ। ফের তাকে জেলে পাঠানো হয়। পরের ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুজোয়, নবমীতে। কবীরউদ্দিন, আব্দুল খালেক, আমিরুদ্দিন নামে তিন বন্দি একসঙ্গে জেল ভেঙে পালায়। ১৯ নভেম্বর পালিয়ে যায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আফজল হোসেন। সপ্তাহ দু’য়েক আগে করিমগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া আনোয়ার হোসেন নামে এক বন্দি পালায়। ওই ঘটনার দিন দশেক পরেই পালালো জয়নালউদ্দিন।
কী ভাবে জেল থেকে পালাচ্ছে বন্দিরা? জেল সুপার মৃন্ময় ডাউকা এ জন্য দায়ী করেছেন কারারক্ষীর অভাবকেই। তিনি বলেন, “রক্ষীর সংখ্যা নগণ্য। বন্দিদের উপর সব সময় নজরদারি করা যাচ্ছে না। নিয়ম অনুযায়ী, জেলের বাইরে কোনও বন্দিকে নিয়ে যেতে হলে, চারজন রক্ষী পাঠাতে হয়। কিন্তু, করিমগঞ্জ জেলে কর্মীর অভাবে, একজন রক্ষীর হেফাজতেই বন্দিকে বাইরে পাঠাতে হচ্ছে। তা ছাড়া, বন্দিদের রাখতে হয় টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরে। অন্য পরিকাঠামোরও অভাব রয়েছে। সে সব কারণেই বন্দিদের পালানো আটকাতে ব্যর্থ হচ্ছে জেল কর্তৃপক্ষ।
জেলাশাসক সঞ্জীব গোঁহাই বরুয়াও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, করিমগঞ্জ জেলের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে আইজি (কারা)-র কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। তাতে রক্ষীর অভাব এবং দুর্বল পরিকাঠামোর কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। বেহাল দশাতেই রয়েছে ওই জেল। জেলাশাসক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “কারা দফতর সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ না-নিলে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।” |
|
|
|
|
|