দু’বছর কুড়ি দিন পরে সাধারণ মানুষের জন্য খুলল ঢাকুরিয়া আমরির বহির্বিভাগ। তবে স্বাস্থ্য ভবন আমরির মূল ভবনের মাত্র দু’টি তলা খোলার অনুমতি দেওয়ায় বহির্বিভাগের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পরীক্ষা ইউনিট এ দিন থেকে চালু করেছেন আমরি কর্তৃপক্ষ। তবে পুরনো ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিরাপত্তার সব রকম ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ এ বার অনেকটাই সচেতন।
২০১১-এর ৯ ডিসেম্বর গভীর রাতে আগুন লাগে আমরি-র অ্যানেক্স ওয়ান ভবনে। মারা যান প্রায় ৯৩ জন রোগী। এর পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢাকুরিয়া আমরির মূল ভবন এবং অ্যানেক্স ওয়ানের চিকিৎসা-ব্যবস্থা। বহু কাঠখড় পোড়ানোর পরে সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবন, পুরসভা, দমকল থেকে মূল ভবনের একতলা এবং দোতলা সাধারণ রোগীদের জন্য খোলার অনুমতি পান আমরি কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ এ দিন জানান, সব রকম ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই তাঁরা এবং চিকিৎসকেরা মিলে ঠিক করেন সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর থেকে বহির্বিভাগ খোলা হবে। |
সেই মতো এ দিন সকাল আটটাতেই খুলে যায় হাসপাতালের দরজা। আমরি-র তরফে জানানো হয়েছে, রোজ সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বহির্বিভাগ খোলা থাকবে। তবে সকাল আটটা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত রোগীরা চাইলে বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মাত্র ৬০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করালেই হবে। আগে এই ব্যবস্থা থাকলেও, তা দু’ঘণ্টার জন্য ছিল বলে আমরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এ দিন মোট ২৬ জন চিকিৎসক ছিলেন হাসপাতালের বহির্বিভাগে। চিকিৎসার পাশাপাশি এ দিন একতলায় ফার্মাসি-র দোকানও খুলে দেওয়া হয়। খোলা হয়েছে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষার বেশ কিছু বিভাগও। যার মধ্যে রয়েছে ইইজি, ইসিজি, ইকো-কার্ডিওগ্রাফি, এক্স-রে, হল্টার মনিটরিং-এর মতো পরীক্ষা। চালু হয়েছে পরীক্ষার জন্য রক্ত নেওয়ার ব্যবস্থাও। তবে ল্যাবরেটরি খুলতে না পারায় আমরি-র অন্য শাখা থেকে পরীক্ষা করিয়ে এনে রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানান।
|