ঘরোয়া লিগে ডার্বি ম্যাচের সময় ছুটি চেয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের মাথাব্যথা কি বাড়িয়ে দিয়েছেন কোচ আর্মান্দো কোলাসো? প্রশ্ন শুনে লাল-হলুদ কোচ যদিও বলছেন, “এটা আমার আর ক্লাবের ব্যাপার। মিডিয়া বিষয়টাকে অহেতুক গুরুত্ব দিচ্ছে কেন?”
এ দিকে, সোমবারও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি প্রধান কোচকে গোয়ায় ছুটি কাটাতে পাঠিয়ে ১১ জানুয়ারি কলকাতা লিগে মোহনবাগানের মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে। ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য এ দিন ফোনে বলেই দিলেন, “কোচ তাঁর পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের কাছে ছুটি চেয়েছেন। আমরা সেখানে না বলতে পারি না। কিন্তু মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের সঙ্গে প্রচুর আবেগ, সম্মান জড়িয়ে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কোচকে ছুটি দিতেও মন সায় দিচ্ছে না। তবে বিষয়টা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।”
আর্মান্দোর ছুটি চাওয়া নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তৈরির মাঝেই সোমবার সকালে অনুশীলনে গরহাজির জেমস মোগা। মঙ্গলবার কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ রেলওয়ে এফসি-র বিরুদ্ধে। রবিবার আর্মি একাদশের বিরুদ্ধে তাঁকে তুলে নেওয়ায় মাঠেই হম্বিতম্বি করেছিলেন মোগা। যদিও পরে ড্রেসিংরুমে ফিরে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন। এ দিন সকালে মোগার অনুশীলনে না আসার পিছনে সেই ঘটনার কোনও রেশ আছে কি? মোগার সঙ্গে রাতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, “রবিবার ম্যাচ খেলার ক্লান্তি ছিল। তাই সকালে অনুশীলনে যেতে পারিনি। ক্লাবকে জানানো ছিল। তবে বিকেলে ক্লাবে গিয়ে জিম করেছি।” কিন্তু ক্লাবে তিনি কাকে জানিয়েছিলেন সে ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি এই বিদেশি। ক্লাব কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও লাল-হলুদ শিবিরের ভিতরের খবর, মোগার এই মেজাজি ব্যবহারে ক্লাব কর্তাদের অনেকেই সন্তুষ্ট নন। তবে এখনই মোগার বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না ক্লাব। এ দিনও বিদেশি ফুটবলারটির পাশে দাঁড়িয়ে কোচ বলেন, “মোগার ব্যাপার নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করার কোনও মানে নেই। বিশ্বের সব ফুটবল পরিবারেই এ রকম ঘটনা অল্পস্বল্প ঘটে থাকে। সেগুলোকে মানিয়ে চলতে হয়।”
এ দিকে, আগামী এগারো দিনে পাঁচটি ম্যাচ খেলতে হওয়ায় রোটেশন পদ্ধতির উপর জোর দিচ্ছেন আর্মান্দো। পুরনো চোটের জায়গায় ফের আঘাত লাগায় রেলওয়ে এফসি-র বিরুদ্ধে মেহতাবের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দলে আসতে পারেন কেভিন লোবো, লালরিন্দিকারা। |
মঙ্গলবার কলকাতা লিগে
ইস্টবেঙ্গল-রেলওয়ে এফসি (ইস্টবেঙ্গল, ২-০০) |