আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় ফের রক্তাক্ত রাশিয়ার ভলগোগ্রাদ শহর। গত চব্বিশ ঘণ্টায় দ্বিতীয় বার। আজকের বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। আহত অন্তত ২৮।
গত কাল এক মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গির লক্ষ্য ছিল শহরের এক রেল স্টেশন। আর আজ সকালের ব্যস্ততম সময়ে একটি ট্রলিবাসে বিস্ফোরণ ঘটায় এক আত্মঘাতী জঙ্গি। তবে পুলিশ নিশ্চিত যে আজকের বিস্ফোরণ কোনও পুরুষ জঙ্গিই ঘটিয়েছে। বিস্ফোরক দেখে অবশ্য পুলিশের অনুমান, কাল ও আজকের ঘটনার পিছনে রয়েছে একই দল।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে একই শহরে দু’টো বিস্ফোরণের পরে নড়েচড়ে বসেছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার। দেশের সর্বত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র সোচিতেই মোতায়েন করা হয়েছে ৬০০ পুলিশ। ভলগোগ্রাদ থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে সোচিতেই আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি শীত অলিম্পিকের আসর বসছে। সুষ্ঠু ভাবে অলিম্পিক উতরে দেওয়াটা পুতিন সরকারের কাছেও এক বড় চ্যালেঞ্জ। আর ঠিক এই কারণেই এই সময়টাকে আক্রমণের জন্য বেছে নিয়েছে জঙ্গিরা। পুলিশের অনুমান যে কোনও প্রকারে অলিম্পিকের অনুষ্ঠান বানচাল করতেই আক্রমণের রাস্তায় হাঁটছে জঙ্গিরা।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানাচ্ছেন, আজ সকালে ভিড়ে ঠাসা একটি সাদা-নীল রঙের বাস রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎই বিশাল আওয়াজ হয়। সঙ্গে ধোঁয়া। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ছাদের কাঠামোটি ছাড়া বিশালাকার ওই বাসের আর কোনও অংশই প্রায় অবশিষ্ট নেই। বিস্ফোরণের অভিঘাতে বাসের চালকের দেহ প্রায় কয়েক মিটার দূরে গিয়ে ছিটকে পড়েছিল।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) পুতিন সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছে। একটি বার্তায় তারা বলেছে, “দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সন্ত্রাসবাদ এখন আন্তর্জাতিক সমস্যা। আমরা নিশ্চিত যে পুতিন সরকার শান্তিপূর্ণ ভাবে বিষয়টি সামলাতে সক্ষম হবে।” ঘটনার নিন্দা করে পুতিনকে চিঠি লিখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
|