পুলিশ-প্রশাসনের কড়া বার্তা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জলপাইগুড়িতে বিভাগীয় কমিশনারের দফতর ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করল কেপিপি। দলকে সভা-মিছিলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে আজ, সোমবার বিভাগীয় কমিশনারের দফতর ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল কেপিপি। গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে বিস্ফোরণের পরে প্রশাসনের তরফে কেপিপি’কে কর্মসূচি স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এর পরে রবিবার দুপুর পর্যন্ত নিজেদের ঘোষিত কর্মসূচিতে অনড় ছিল কেপিপি। এর পরেই শুরু হয় প্রশাসনিক তৎপরতা। রাজ্যের ডিজি (উপকূল) তথা উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ কানোজিয়া, উত্তরবঙ্গের আইজি শশীকান্ত পূজারি, জলপাইগুড়ির ডিআইজি জাভেদ শামিম, জেলা পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি এবং জেলাশাসক পৃথা সরকার জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন। |
কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি
থানা এলাকায়। রবিবার সন্দীপ পালের তোলা ছবি। |
শহরের বাইরেই কেপিপি-র মিছিল আটকাতে উত্তরবঙ্গের তিন জেলা থেকে পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আজ, সোমবার সকাল থেকে শহরে ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এ দিন সন্ধ্যা থেকেই ৩১-ডি জাতীয় সড়ক থেকে জলপাইগুড়ি শহরে ঢোকার পাহাড়পুর মোড় থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পূর্ত দফতরের মোড় থেকে বিভাগীয় কমিশনারের দফতর এবং জেলাশাসকের দফতর পর্যন্ত অনর্দিষ্ট কালের জন্য ১৪৪ ধারা বলবত করে প্রশাসন। ওই দুই পথ দিয়েই কেপিপি-র মিছিল শহরে ঢুকে, বিভাগীয় কমিশনারের দফতরে যাওয়ার কথা ছিল। ১৪৪ ধারা জারির কথা পুলিশের মাধ্যমে লিখিত ভাবে কেপিপির সভাপতি অতুল রায়কে জানিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেই কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেপিপি। কেপিপির সভাপতি অতুল রায় ও সাধারণ সম্পাদক নিখিল রায় বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ-প্রশাসনের তরফে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। চিঠি পাঠিয়ে ১৪৪ ধারা জারির কথা জানানো হয়। হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে আমরা পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে বা কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই না। আপাতত কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে।” তাঁরা জানান, ডুয়ার্সের সঙ্কোশ থেকে ফরাক্কা অবধি সাইকেল মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, তাতে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে। বিস্ফোরণের তদন্তে যাতে নিরীহ কাউকে হেনস্থা করা না হয় তা দেখা সরকারের কাজ।
পুলিশ জানায়, কেপিপি কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানালেও পাহাড়পুর মোড় সহ জলপাইগুড়ি শহরে ঢোকার অসম মোড়, গোশালা মোড়, হলদি বাড়ি মোড়, ৭৩ মোড়েও সোমবার সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। |