|
|
|
|
রেলের সুড়ঙ্গে মৃতদেহ, উত্তেজনা ছড়াল বদরপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর
২৯ ডিসেম্বর |
পাহাড় লাইনের একটি সুড়ঙ্গে রেলযাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত বদরপুর। আজ সকালে রেল লাইন ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় জনতা। জেলাশাসকের আশ্বাসে চার ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে।
রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সোমবার থেকেই প্রতিবাদে সামিল বদরপুরের বাসিন্দারা। অভিযোগ, ওই দিন পাহাড় লাইনে লামডিং-শিলচর ট্রেনের সংরক্ষিত কামরার যাত্রীরা টিকিট-বিহীন সব্জি ব্যবসায়ীদের হাতে প্রহৃত হন। মঙ্গলবার বদরপুরে রেল ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। তদন্ত কমিটি সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আশ্বাসে অবরোধ উঠেছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যেই গতকাল পাহাড় লাইনের চার নম্বর সুড়ঙ্গে উদ্ধার হয় বদরপুরের বাসিন্দা ময়নুল হকের মৃতদেহ। তিনি নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।
তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে তিনি ডিমাপুর থেকে লামডিং-আগরতলা এক্সপ্রেসে রওনা হয়েছিলেন। বুধবার তিনি বাড়িতে না-ফেরায় পরিজনরা চিন্তিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ময়নুলের ভাই আতিকুর রহমান বদরপুর থানায় নিখোঁজ মামলা দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মাইবাং স্টেশনের কাছে চার নম্বর সুড়ঙ্গ থেকে রেল পুলিশ এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নুলের পরিবারের লোকজন কাল সেটি শনাক্ত করেন।
ময়না তদন্তের পর আজ মৃতদেহ বদরপুরে পৌঁছলে উত্তেজনা শুরু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, মারপিট করে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছে। যাত্রী সুরক্ষার দাবিতে সকাল ৯টায় বদরপুর জংশনে অবরোধ করা হয়। বেলা ১১টা নাগাদ জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। করিমগঞ্জের জেলাশাসক সঞ্জীব গোঁহাই বরুয়া আন্দোলকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের দাবি, জিআরপি সরিয়ে পাহাড় লাইনে নিরাপত্তার দায়িত্ব আরপিএসএফ-এর হাতে দিতে হবে। ময়নুলের স্ত্রী-র চাকরি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানানো হয়। জেলাশাসক উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তিনি সব ক’টি দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিলে দুপুর দেড়টায় অবরোধ উঠে যায়। |
|
|
|
|
|