|
|
|
|
ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন ঝাড়খণ্ডে, আশ্বাস মোদীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি
২৯ ডিসেম্বর |
ঝাড়খণ্ডে মজুত কয়লা ঠিকমতো ব্যবহার হলে বিদ্যুৎ দেওয়া যেত গোটা দেশে আজ রাঁচির সভায় এমনই মন্তব্য করলেন নরেন্দ্র মোদী।
একই সঙ্গে মোদী জানিয়ে দিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে তাঁর লক্ষ্য হবে, এ রাজ্যের কয়লাই। ঝাড়খণ্ডের উন্নয়নের স্বার্থে তা ব্যবহার করবেন। বন্ধ থাকা কয়লা খনিগুলি নিয়েও উদ্বেগের কথা জানান মোদী। নাম না-করে কেন্দ্রের সমালোচনায় তিনি বলেন, “এখানকার কয়লা ব্যবহার করে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যেত। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে কয়লা খনিগুলিই বন্ধ হয়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না রাজ্যের মানুষই।”
দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিতে ঝাড়খণ্ডের গুরুত্বের কথাও বলেন মোদী। তিনি বলেন, অটলবিহারী বাজপেয়ীর হাত ধরে ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়, উত্তরাখণ্ড গঠন হয়। ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি আসার পর সে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু পিছিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড। মোদীর কথায়, “এত সম্পদ থাকলেও, কেন পিছিয়ে ঝাড়খণ্ড? চিন্তার মতো বিষয়। রাজ্য গঠনের পর মানুষ নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু, দিল্লির সরকার সে সুযোগ দেয়নি। পরপর কারখানা বন্ধ হয়েছে। এইচইসি-র মতো সংস্থাও ধুঁকছে।”
বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহও তাঁর বক্তব্যে ঝাড়খণ্ডে স্থায়ী সরকার গঠন না-হওয়ার পিছনে কেন্দ্রের ইউপিএ-কেই দায়ী করেন। বলেন, “১৩ বছরে এ রাজ্যে ৯ জন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কখনও সরকার স্থায়ী হয়নি। স্থায়ী সরকার গড়তে কেন্দ্রের উচিত ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৮১ থেকে বাড়িয়ে ১০২টি করা।”
রাজ্যের বিদ্যুতের সমস্যার জন্যও কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলে রাজনাথ বলেন, “অটলবিহারীজির আমলে হাজারিবাগে এনটিপিসি প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। তার পর কাজ এগোয়নি। রাজ্যে বিদ্যুতের সমস্যা তা-ই একটুও কমেনি।” তিনি জানান, ধানবাদের ‘ইন্ডিয়ান স্কুল অব মাইনস’-এর পড়ুয়ারা তাঁদের কলেজকে আইআইটি করার দাবিতে দিল্লিতে ধর্না দিলেও, সরকার কর্ণপাত করছে না। রাঁচিতে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাবেও নজর দিচ্ছে না কেন্দ্র। |
|
|
|
|
|