টুকরো খবর
বসে আঁকো প্রতিযোগিতা

ছবিটি তুলেছেন দয়াল সেনগুপ্ত।
কারও বয়স ৪, আবার কারও বয়স ৭৪। রং, তুলি, কাগজ নিয়ে ছবি আঁকার প্রতিযোগিতায় মাতলেন সকলেই। রবিরার খয়রাশোলের ভীমগড় গ্রামের রাসমঞ্চ সংলগ্ন খোলা জায়গায় বসেছিল এই প্রতিযোগিতার আসর। উদ্যোক্তা স্থানীয় সাত-রং নামে একটি সঙ্গীত ও নৃত্য শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। খয়রাশোলের বিভিন্ন গ্রাম এবং অজয় পেরিয়ে লাউদহ, পাণ্ডবেশ্বর থেকেও প্রতিযোগীরা এসেছিলেন। উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, শিল্প-সংস্কৃতি চার্চার মাধ্যমে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ও শিশুদের মধ্যে তা সঞ্চারিত করতেই এই উদ্যোগ। সংস্থার কর্ণধার পুলক লাহা বলেন, “প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় বাছা হবে না। যে ছবিগুলি দেখতে বা গুণমানে ভাল হবে, সেই সব ছবি স্থান পাবে আমাদের বার্ষিক ম্যাগাজিনে।” রং-তুলিতে ছোটা ভীম কিংবা ডোরেমনের মতো কার্টুন চরিত্রের পাশাপাশি উঠে এসেছে এ বার কলকাতায় যৌন কর্মীদের আয়েজিত প্রথম দুর্গাপুজো। ছবি আঁকার সঙ্গে চলেছে গান বাজনা। বছরের শেষ সপ্তাহে ছবি আঁকা, গানশোনার মধ্য দিয়ে একটা অন্য রকম সকাল কাটল বলে জানাচ্ছেন ৭৪ বছেরের বৃদ্ধা অদিতি বন্দ্যোপাধ্যায়, বধূ শ্যামশ্রী গোস্বামী, খুদে আদিত্য মণ্ডল, রিয়া কোটাল বা যুবক সুব্রত সূত্রধররা।

শেষ হল বাউল উৎসব

দেবানন্দপুরে ছবিটি তুলেছেন বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
বছরের শেষে বাউল উৎসবে মাতল বীরভূম। শনি ও রবিবার দু’দিন ধরে বাউল উৎসব হয়েছে বোলপুরের দেবানন্দপুর ও পাড়ুই থানার খঞ্জনপুর এলাকায়। অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের উদ্যোগে দেবানন্দপুরে লোক সঙ্গীত এবং লোকশিল্প প্রসারের মাঠে শনিবার এই উৎসবের উদ্বোধন করেছিলেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। ছিল ধামসা, মাদল, রণ-পা ও আদিবাসী নৃত্য। উদ্যোক্তারা জানান, অনন্ত দাস বাউল, ফকির সাধন দরবেশ, মোসলেম ফকির, মনসুর ফকিরের মতো লোকসঙ্গীত শিল্পীদের পাশাপাশি স্থানীয় নিমচাঁদ মাড্ডি, চুরকি সরেনের মতো শিল্পীরাও নিজেদের হস্ত শিল্পের পসরা নিয়ে এসেছেন। উপস্থিত ছিলেন, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের সচিব এস কে থাড়ে, পরিচালন অধিকর্তা শান্তনু সাহা-সহ জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। অন্য দিকে, খঞ্জনপুরে একটি সংস্থার উদ্যোগে হওয়া উৎসবে শনিবার ৮০ জন বাউল শিল্পীকে স্বাস্থ্য বিমার সুযোগের আওতায় আনা হয়েছে।

নিতুড়িয়ায় ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙার চেষ্টা
ব্যাঙ্কের ভল্টের তালা ভাঙতে না পারায় বড়মাপের চুরির হাত থেকে রক্ষা পেল একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। শনিবার রাতে নিতুড়িয়ার রানিপুর গ্রামের ঘটনা। রবিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ব্যাঙ্কে যায় পুলিশ। তবে ওই ঘটনায় এ দিন রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। পুলিশ ও ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিল। ব্যাঙ্কের সদর দরজার তালা-সহ বিভিন্ন দরজার মোট সাতটি তালা তারা ভাঙে। কিন্তু ভল্টের তালা ভাঙতে পারেনি। গ্রামের মধ্যেই জনবিরল স্থানে ওই ব্যাঙ্কটি রয়েছে। ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজার জয়দেব কুইরী জানান, এ দিন সকালে ব্যাঙ্কের প্রধান দরজার তালা ভাঙা দেখে স্থানীয় মানুষজন তাঁকে খবর দেন। তাঁর কথায়, “ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখি সাতটি তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকেছিল। ভল্টের তালাও তারা ভাঙার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তা ভাঙতে না পারায় রক্ষা পাওয়া গিয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.