দলের কাজেই যে তাঁকে বেশি সময় দিতে হবে তা বোঝানোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিল্প দফতরের মতো গুরু দায়িত্ব তাঁর হাতছাড়া হলেও, এখনও সরকারের দু’টি দফতরের মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, দলের কাজে এখন থেকে বেশি সময় দেবেন পার্থবাবু। শুক্রবার থেকেই নিয়ম করে তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে যেতে শুরু করেছেন দলের মহাসচিব পার্থবাবু। শনিবার বিকালেও গিয়েছেন। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা ও কর্মীদের সঙ্গেও সাংগঠনিক বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। পরে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণাও করেন তিনি।
|
তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে সুব্রত বক্সী ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়।— নিজস্ব চিত্র। |
দলের মহাসচিব হিসাবে এর আগেও দলীয় বৈঠক বা সাংবাদিক সম্মেলন করতে পার্থবাবুকে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এ দিন তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন এবার দলের সাংগঠনিক কাজে বেশি সময় দেবেন পার্থবাবু। আগামী ৩০ জানুয়ারি ব্রিগ্রেড পা্যারেড গ্রাউন্ডে সমাবেশের কথা মমতা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন। বস্তুত ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রস্তুতি সভা করবে তৃণমূল। সেই সভাগুলিতে পার্থবাবু-সহ তৃণমূলের রাজ্য নেতারা অনেকেই যাবেন। পার্থবাবুর কথায়, ‘‘বিগ্রেড সমাবেশকে ঐতিহাসিক রূপ দিতে চাই আমরা। এ জন্য জেলায় জেলায় কর্মী সম্মেলন হবে। সেখানে আমরা বার্তা দেব—দলীয় নেতা কর্মীরা ব্রিগেডে সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে আসুন।” ব্রিগ্রেডের ওই সভাই শুধু নয়, লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে মমতা-সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি ও সাফল্যকে রাজ্যের মানুষের কাছে তুলে ধরতে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই প্রচারে নামছে তৃণমূল। দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ১ জানুয়ারি প্রতি বছরই তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে। এ বারও হবে। কিন্তু এ বার তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ও সাফল্যকে তুলে ধরতে আলোচনা সভা, প্রচারপত্র বিলি ইত্যাদি করা হবে বলে পার্থবাবু এ দিন জানান।
তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ও সাফল্য জনমানসে আরও বেশি করে তুলে ধারার জন্য ব্লক থেকে আরম্ভ করে দলের জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |