পেসারদের বাইশ গজে স্পিনারদের দাপট
গতির হেরফের, বৈচিত্র অস্ত্র জাডেজার
খুব একটা সুবিধেজনক অবস্থায় নেই ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা বড় রান তোলার দিকে এগোচ্ছে। ওদের ব্যাটিংয়ের হৃদয় বলা যায় যাদের, জাক কালিস আর এবি ডে’ভিলিয়ার্সই বড় ভূমিকা নিল রানটা তুলতে। দক্ষিণ আফ্রিকা আরও দুটো সেশন ব্যাট করলে ভারতের সামনে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই করা ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ভারতীয় পেস আক্রমণকে নিষ্প্রাণ লেগেছে। যদিও সকালে দ্রুত ক’য়েকটা উইকেট পড়ার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে তুলে নিতে পারে ভারত, এ রকম একটা আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কালিস আর ডে’ভিলিয়ার্স ওদের অভিজ্ঞতা আর দক্ষতায় পাল্টা ধাক্কা দিতে সময় নেয়নি।
তবে এটা নিশ্চিত এর মধ্যেও রবীন্দ্র জাডেজা ওদের বড় ধাক্কা দিতে পেরেছে। যাতে বোঝা যাচ্ছে বাকি ম্যাচে স্পিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে গভীরতা এতটাই যে প্রথম ইনিংসে বড় লিড নিলে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।
জাডেজার জন্য পিচে আহামরি সাহায্য কিন্তু ছিল না। তবে ও বুদ্ধিমান স্পিনার। যে ভাবে লাইন আর লেংথে বৈচিত্র রাখছিল আর পেস চেঞ্জ করছিল এককথায় দুরন্ত। সম্মানটা ও আদায় করে নিয়েছে। এটা পরিষ্কার ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এ দিনের সেরা ও-ই।

উলটপুরাণ। জাডেজায় মজেছেন জাহির।
এ বার কালিসের কথায় আসা যাক। নিজের টেস্ট ক্রিকেটের শেষ অধ্যায়ে খেলতে নেমেও ও সেই একই রকম। তুখোর ডিফেন্স আর কপিবুক স্ট্রোক। যেটা ওর ব্যাটিংয়ের হলমার্ক। প্রায় সমস্ত খারাপ বলই বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে শাসন করেছে কালিস। পাশাপাশি ডে’ভিলিয়ার্স শটে যেমন নতুনত্ব দেখিয়েছে তেমনই খুচরো রান নেওয়ার ব্যাপারেও সদা ব্যস্ত ছিল। এ ভাবেই বেশ কিছুটা রান করার পর জাডেজার তৃতীয় শিকার ডে’ভিলিয়ার্স। ওর উইকেট পড়ার পর ম্যাচটা ভারতের দিকে কিছুটা চলে আসে। পরে দুমিনিকেও ফেরাল সেই জাডেজা।
জাডেজা ছাড়া ভারতীয় পেসারদের মধ্যে মহম্মদ শামিই যা উইকেট পাওয়ার দিক থেকে এ দিন সফল। আবার যে ভাবে ও হাসিম আমলাকে আউট করল তাতে মনে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন নম্বর ব্যাটসম্যানকে ফেরানোর ব্যাপারটা শামি নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। ওদের কম রানে গুটিয়ে ফেলতে ভারতকে ঝাঁপাতে হবে। কালিস, দু’প্লেসি আর শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা যদি বড় রান তুলে দেয়, তা হলে ভারত কিন্তু এই টেস্টে আরও বিপদে পড়ে যাবে। কালিস যে ভাবে ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করছে তাতে ওকে যত দ্রুত সম্ভব ফেরাতে হবে।

পাঁচ উইকেট নিয়ে জবাবটা দিতে চাই
আমার সমালোচকরা বলে আমি নাকি ভারতে ছাড়া কোথাও বল ঘোরাতে পারি না। আমার স্বপ্ন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে টেস্টে পাঁচ উইকেট নেব। রবিবার আর একটা উইকেট নিয়ে সমালোচকদের জবাবটা দিতে চাই। প্রথম টেস্টে বাইরে থাকার সময় লাল বলে প্র্যাকটিস করেছি। কোকাবুরা বল গ্রিপ করতে যে সমস্যাটা হয়, সেটা কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রচুর খেটেছি। এখানে বাঁহাতিদের অফ স্টাম্পের বাইরে যে রাফটা হয়েছে, সেটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। আমাকে বলা হয়েছে ঠিক জায়গায় বলটা ফেলতে হবে। আর কিছু নিয়ে ভাবার দরকার নেই। আমি সেই কাজটাই করছি।
রবীন্দ্র জাডেজা

পুরনো খবর:





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.