|
|
|
|
আনন্দবাজারে প্রতিবেদনের জের |
বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ শুরু হরিরামপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরের জেরে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে বাস স্ট্যান্ড নির্মাণের কাজ শুরু করল প্রশাসন। গত রবিবার পূর্ত দফতরের অধীন ঠিকাদার সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়র এবং এক জন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শুভাশিস পালের বিরুদ্ধে। তারপর থেকে বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ বন্ধ ছিল। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কলকাতার ওই ঠিকাদার সংস্থার তরফে ওই দিন রাতেই জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ই-মেলে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কাজ বন্ধ করে দিয়ে ঠিকা সংস্থার কর্মীরা হরিরামপুর ছেড়ে চলে যান। শুক্রবার আনন্দবাজারে ওই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনিক মহলে তা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসন থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হলে এদিন সকাল থেকে বাস স্ট্যান্ড তৈরির কাজে হাত দেন সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারেরা। এ দিন মহকুমাশাসকের উপস্থিতে পুলিশি পাহারায় হরিরামপুর বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ শুরু হয়। জেলাশাসক তাপস চৌধুরী বলেন, “এ দিন হরিরামপুর বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মহকুমা শাসককে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। কোনও ভাবেই আর সরকারি কাজে বাধা বরদাস্ত করা হবে না। নির্মাণ কর্মীদের সব রকম নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।” সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার ম্যানেজার স্বপন ঘোষ বলেন, “এ দিন সিমেন্টের পিলারের লোহা বাঁধার কাজ হয়েছে। দ্রুত ঢালাইয়ের কাজ শুরু করা হবে।”
দলের জেলার নেতা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শুভাশিস পালের নাম মারধরের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের তরফে শুভাশিসবাবুকে ‘সতর্ক’ করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “শুভাশিসবাবু ওই ঘটনায় জড়িত নন বলে জানিয়েছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য কলকাতায়। উনি ফিরলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। বাস স্ট্যান্ড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কাজে গতি বাড়াতে বলা হয়েছে।” মারধর করা নিয়ে ঠিকা সংস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই সংস্থার এক কো-অডির্নেটর ই- মেলের মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|