কেএলও |
|
কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন |
১৯৯৫ সালে ২৮ ডিসেম্বর কেএলও-এর প্রতিষ্ঠা হয়। ৬০ জন সক্রিয় সদস্যকে নিয়ে শুরু। উত্তরবঙ্গের ছয় জেলা ও নামনি অসমের চার জেলা নিয়ে আলাদা কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবিতে সশস্ত্র লড়াইয়ের কথা ঘোষণা। মূলত উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ ও দার্জিলিং জেলার। মূল ঘাঁটি অসম ও লাগোয়া ভুটানের সামদ্রুপজোঙ্খা। ২০০৩ সালে সেনা অভিযানের পরে কেএলও-এর শক্তি তলানিতে ঠেকে। অন্তত ৫০ জন কেএলও জঙ্গির আত্মসমর্পণ। জীবন সিংহ ফেরার। সন্দেহে কোনও প্রতিবেশী দেশে আশ্রয়।
|
|
|
মর্গের সামনে ভিড়। |
টহল জেলা পুলিস সুপারের। |
|
কেএলও তখন |
ময়নাগুড়ি, কুমারগ্রাম, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ ও দিনহাটার সিতাই এলাকা ছিল অন্যতম ঘাঁটি। ডুয়ার্সের বনাঞ্চলেও একাধিক ডেরা। নামনি অসমের কোকরাঝাড়, ধুবুরি, গোয়ালপাড়া, বঙ্গাইগাঁওয়েও প্রত্যন্ত এলাকায় শিবির। মূলত ব্যবসায়ীদের অপহরণ, শিক্ষকদের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ। বাম নেতা-কর্মীদের উপরে একাধিক হামলা, খুনের অভিযোগ। ২০০৪ সালে সিপিএমের ধূপগুড়ি জোনাল অফিসে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলা। নিহত ৬ জন।
|
কেএলও এখন |
ঘাঁটি সরল কোচবিহার, ডুয়ার্স থেকে মালদহে। ২০১৩ সালের এপ্রিল-মে থেকে মালদহের বামনগোলা, গাজল, হবিবপুর, পুরাতন মালদহ ব্লকে কেএলও জঙ্গি মালখান সিংহ ও তাঁর অনুগামীরা সক্রিয় হয়। ব্যবসায়ী, শিক্ষকদের থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স রাজ্য পুলিশের ডিজির দ্বারস্থ। মালখানকে ধরতে ‘টাস্ক ফোর্স গড়া হল। ১০ জন সঙ্গী ধরা পড়লেও মালখান ফেরার। জীবন সিংহ, টম অধিকারী, মালখান সহ অন্তত ৩০ জন কেএলও জঙ্গি শিলিগুড়ির নেপাল সীমান্ত থেকে অসম, কোচবিহার লাগোয়া বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা পর্যন্ত জাল বিছিয়েছে।
|
আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি কী চাইছেন |
যে সব আত্মসমর্পণকারীর পুনর্বাসন হয়নি তা দ্রুত করা হোক।
• তা হলে নতুন করে কেউ শিবিরে যাবেন না।
• রাজ্য এক বার আলোচনার ইচ্ছে দেখাক।
• আত্মসমর্পণকারী কেএলও জঙ্গিদের একাংশ মধ্যস্থতায় রাজি।
|
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী কী বলছেন |
পাহাড়ে যে ভাবে সামগ্রিক উন্নয়নে জোর দিয়েছে রাজ্য, তেমনই জোরগতিতে কাজ হচ্ছে ডুয়ার্স, কোচবিহারেও।
উন্নয়নে সামিল হলে সকলকে স্বাগত। বাধা দিলে শক্ত হাতে মোকাবিলা।
|
কবে কোথায় বিস্ফোরণ |
মে ২০০২
জলপাইগুড়ি জেলার কাজুলি বস্তি ভুটান সীমান্তে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে। ৬ সিআরপিএফ জওয়ান জখম হন
|
২০ নভেম্বর ২০০৬
হলদিবাড়ি-শিলিগুড়ি প্যাসেঞ্জারে বিস্ফোরণ, হত ১০। জখম ৫০ জনের বেশি
|
১৫ অক্টোবর ২০০৬
বারবিশা বাজার ও চৌপথীতে জোড়া বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায় ৬ জন আহত হন
|
৫ ফ্রেবুয়ারি ২০০৭
কামাখ্যাগুড়ি স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেড বোমা বিস্ফোরণ উড়ে যায়। আহত হন তিন জন হকার
|
২০ ফ্রেবুয়ারি ২০০৮
বারবিশা চেক পোস্টে সাইকেল-বোমা বিস্ফোরণে মৃত এক
|
২৩ এপ্রিল ২০০৯
বারোবিশায় বাসে বোমা বিস্ফোরণ নিহত ২
|
১৮ মে ২০০৯ আলিপুরদুয়ার
চৌপথীতে সাইকেল বোমা বিস্ফোরণে মৃত তিন
|
১৮ অগস্ট ২০১৩
বারবিশা চৌপথীতে অসম থেকে আসা বাসে বিস্ফোরণ আহত চার
|
২৯ অগস্ট ২০১৩
আলিপুরদুয়ার চৌপথীতে উদ্ধার বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে মৃত্যু হয় বম্ব স্কোয়াডের কর্মী লালা বাহাদুর লোহার।
|
২৬ ডিসেম্বর
জলপাইগুড়িতে বোমা বিস্ফোরণ নিহত ৫ জন। |
ছবিগুলি তুলেছেন সন্দীপ পাল। |
|