|
|
|
|
কাজটা কঠিন, বুঝছেন অমিত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
একসঙ্গে শিল্প এবং অর্থ দফতরের দায়িত্ব পালন যে সহজ নয়, তা প্রথম দিন থেকেই যেন উপলব্ধি করেছেন অমিত মিত্র। শিল্পমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দিন তাই রাজারহাটের দু’টি অনুষ্ঠানে যেতে পারলেন না তিনি। বরং, দিনভর শিল্পভবনে গিয়ে নতুন দফতরের হাল-হকিকত আর অর্থ দফতরের বকেয়া কাজ শেষ করার উপরেই জোর দিলেন তিনি। তার উপরে পর্যটনে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প সুন্দরবনের ঝড়খালি এবং উত্তরবঙ্গের গজলডোবার পরিকাঠামো সংক্রান্ত বরাদ্দ নিয়ে বৈঠক তো আছেই।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর দিনই শুক্রবার শিল্প দফতরের আমলা-আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিতবাবু। তিনি নতুন শিল্পমন্ত্রী হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দিনভর ক্যামাক স্ট্রিটে শিল্প দফতর ও রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের অফিস ‘প্রতীচী’-তে জল্পনা ছিল কখন নতুন শিল্পমন্ত্রী আসবেন। নবান্ন ঘুরে প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থবাবু কিছু ক্ষণের জন্য নিগমের অফিসে গেলেও অমিতবাবু শুক্রবারই প্রথম দফতরে এলেন। কথা ছিল, এ দিনই আনুষ্ঠানিক ভাবে শিল্প দফতরে পার্থবাবুর থেকে দায়িত্ব নেবেন অমিতবাবু। কিন্তু বেলা দেড়টা নাগাদ অর্থমন্ত্রী পৌঁছে জানতে পারেন, সদ্য-প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী আসছেন না। |
|
হাতে নতুন দায়িত্ব। শুক্রবার শিল্প দফতরে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক। |
সামান্য সময় শিল্পমন্ত্রীর ঘরে থেকে তার পর ‘কনফারেন্স রুমে’ বৈঠকে বসেন তিনি। সেখানে শিল্পসচিব চঞ্চলমল বাচোয়াত, দফতরের অতিরিক্ত সচিব মালবিকা ঝা, শিল্প অধিকর্তা রূপেন চৌধুরি, রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের এমডি কৃষ্ণ গুপ্ত, নিগমের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস যাদব, শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের এমডি পবিত্র মণ্ডল, রাজ্য খনিজ উন্নয়ন নিগমের এমডি রমিত মুৎসুদ্দি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ঘণ্টাখানেক বৈঠক চলে। সরকারি সূত্রের খবর, শিল্প ও শিল্প পুনর্গঠন দফতরের কাঠামো এবং দুই দফতরের কাজকর্ম নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয় বৈঠকে। তবে বৈঠকের পরে এ নিয়ে অমিতবাবুর কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে চাননি। এবং তখনই শিল্পসচিবকে নির্দেশ দেন, সাংবাদিকেরা যেন তাঁদের ওই দফতরে না আসেন তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি কর্তারাও এ দিনের বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।
দফতর সূত্রের খবর, শিল্প পুনর্গঠন এবং বোর্ড ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল রিকনস্ট্রাকশন (বিআইএফআর)-এ পড়ে থাকা শিল্পগুলি কোন পথে উদ্ধার করা যায়, তা নিয়ে শিল্প-কর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় বসেন নয়া শিল্পমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, শিল্প দফতরের দায়িত্ব মূলত দু’টি। এক, নতুন শিল্প আনা। সেই সঙ্গে রুগ্ণ শিল্প পুনর্গঠন এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্পের জমি উদ্ধারের কাজ। এ নিয়ে অমিতবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি শুধু বলেন, “মাত্র দু’ঘণ্টার জন্য শিল্পভবনে গিয়ে আমি চিত্রটা বুঝতে চেয়েছি। এক সপ্তাহ গেলে কিছুটা ধারণা হবে বলে আশা করছি।”
শিল্প দফতরের কাজ শেষ করে পর্যটন দফতরের বরাদ্দ নিয়ে বৈঠক শুরু করেন অমিতবাবু। ঝড়খালি এবং গজলডোবার পরিকাঠামোর বরাদ্দ নিয়েই পর্যটন, পূর্ত, সেচ, কৃষি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে প্রায় রাত আটটা পর্যন্ত বৈঠক করেন অমিতবাবু। |
|
|
|
|
|