পুস্তক পরিচয় ৩...
ভারতীয় সংস্কৃতিতে ওতপ্রোত
দেশে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের ইতিহাস অনেক দিনের। ১৯১১-র জনগণনার সময় হার্ডিঞ্জ-এর সরকার প্রথম নির্দিষ্ট করে দেয়, ইয়োরোপীয় বাবা এবং ভারতীয় মায়ের সন্তান ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাই অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান বলে গণ্য হবে। স্বাধীন ভারতের সংবিধানেও (১৯৪৯) মোটের উপর এই সংজ্ঞাই স্বীকৃতি পেয়েছে, দেশের অন্যতম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মর্যাদাও পেয়েছে তারা। এই সংজ্ঞা অনুযায়ী বস্তুত অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের ইউরো-ইন্ডিয়ান বলা উচিত, তাঁদের বইয়ে (দি অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানস/ আ ফাইভ হানড্রেড ইয়ার হিস্টরি, নিয়োগী বুকস, ৩৫০.০০) এই অভিধাই ব্যবহার করেছেন এস মুথাইয়া ও হ্যারি ম্যাকলিওর।
ভারতীয় উপমহাদেশে পর্তুগিজদের পা রাখা (১৪৯৮) থেকে এই সম্প্রদায়ের সূচনা, ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে গত ৫০০ বছরে তাঁরা ওতপ্রোত। স্বাধীনতার পর দুই-তৃতীয়াংশ ছড়িয়ে পড়েছেন বিদেশে, এখন এ দেশে ওঁদের সংখ্যা দেড় লক্ষের মতো। মুথাইয়াদের বইটিতে রেল, ইংরেজি শিক্ষা, খেলাধুলো, সেনাবাহিনী ছাড়াও বহু ক্ষেত্রে ছড়িয়ে থাকা অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের খুঁটিনাটি বিবরণ উঠে এসেছে। আছে ম্যাকক্লাস্কিগঞ্জের পুরনো ছবি আর গল্পও।
কলকাতায় অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের বর্তমান সংখ্যা নির্দিষ্ট ভাবে জানা না গেলেও নিঃসন্দেহে তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক চলচ্চিত্রে তাঁদের কথা রূপায়িত, গল্প-উপন্যাসে তো বটেই। কিন্তু কতটা বাস্তব সেই রূপায়ণ? নিউজিল্যান্ডের গবেষক রবিন অ্যান্ড্রুজ আইডেন্টিটি, ফেথ, এডুকেশন আর কমিউনিটি কেয়ার এই চারটি দিক থেকে কলকাতায় এই সম্প্রদায়ের দশ জনের জীবনকথার মাধ্যমে বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন (ক্রিসমাস ইন ক্যালকাটা/ অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান স্টোরিজ অ্যান্ড এসেজ, সেজ, ৬৯৫.০০)। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অন্য মাত্রা দিয়েছে বইটিকে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.